সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধুমাত্র টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনই নয়, অর্পিতার মামার বাড়িতেও আনাগোনা ছিল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার মথুয়াবাটিতে ছিল মডেল-অভিনেত্রীর মামার বাড়ি। অল্পদিনেই সেখানে নাকি প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেছিলেন তাঁর মামা। গ্রেপ্তারির পর অর্পিতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের দাবি, প্রথম দিকে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মামার বাড়িতে আসতেন অর্পিতা (Arpita Mukherjee)। মডেলিংয়ের দুনিয়ায় পা বাড়ানোর পর থেকে একাই গ্রামে আসতেন। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাড়িতে আসতেন। অর্পিতার মামা, মামাতো ভাইরা সরকারি চাকরি পান। প্রায় রাতারাতি দুর্গের মতো আকাশি রংয়ের তিনতলা বাড়িও তৈরি করেন মডেল-অভিনেত্রীর মামা।
অর্পিতার মামার এক প্রতিবেশীর দাবি, মডেল-অভিনেত্রী অত্যন্ত দাম্ভিক ছিলেন। ছোটবেলায় যাঁদের সঙ্গে কথা বলতেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’র পর আর কথা বলতেন না। সরকারি জলের কল প্রভাব খাটিয়ে মামার বাড়ির কাছে বসান তিনি। চারচাকা গাড়ি ঢোকানোর প্রতিবেশীর মালিকাধীন জমিও ক্ষমতার জোরে ব্যবহার করতেন বলেই অভিযোগ। আরেক প্রতিবেশীর দাবি, মাঝেমধ্যে বিকেলের দিকে অর্পিতার মামার বাড়িতে যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় রাস্তাও বন্ধ করে দিত পুলিশ। তার ফলে যাতায়াতেও সমস্যা হত। তা সত্ত্বেও কারও কিছু বলার উপায় ছিল না বলেও অভিযোগ। তবে অর্পিতার মামার বাড়ির কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কারণ, ভাগ্নির গ্রেপ্তারির পর কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন অর্পিতার মামা। বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। কী কারণে গ্রাম ছাড়লেন অর্পিতার মামা, স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, হাওড়ার ডোমজুড়ে অর্পিতার মাসির বাড়ির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বোনঝির এহেন কাণ্ডকীর্তির কথা শুনে তিনি কার্যত স্তম্ভিত। অর্পিতাকে তো এমন মেয়ে বলে দেখেননি কখনও। খুব কমই মাসির বাড়ি যেতেন অর্পিতা। মাসখানেক আগেই বোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদুর সঙ্গে দেখা করতে। বলছেন স্মৃতিদেবী। কী করতেন অর্পিতা? মাসির দাবি, খুব কম বয়স থেকেই মডেলিং, অভিনয় করতেন। সেই সূত্রে বেলঘরিয়ার বাড়ি ছেড়ে কলকাতার ফ্ল্যাটে গিয়ে থাকা। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। কোন মন্ত্রী, কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে অর্পিতার যোগাযোগ আছে, সেসব অজানা। এই খবর শুনে তিনি দিদি অর্থাৎ অর্পিতার মায়ের জন্য বেশি চিন্তিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.