Advertisement
Advertisement

Breaking News

চাঁদের মাটিতে সফলভাবে পা রাখুক চন্দ্রযান ৩, আশায় ইসরোর বাঙালি বিজ্ঞানীর বাবা-মা

চন্দ্রযান ১ ও ২ মিশনের সঙ্গেও প্রত্যক্ষভাবে নিযুক্ত ছিলেন বসিরহাটের এই গবেষক।

Parents of Bengali ISRO researcher hopes success of Chandrayaan 3 | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 18, 2023 2:17 pm
  • Updated:July 18, 2023 2:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে সফলভাবে পা রাখুক চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3), প্রহর গুনছে বসিরহাটের গবেষক পরিবারের মা-বাবা। ইতিমধ্যে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ দেখেছে গোটা দেশ। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে পা রাখুক এমনটাই চাইছেন ইসরো বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে কোটি কোটি ভারতবাসী।

২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে চাঁদে পা রাখতে পারেনি। ফলে হতাশা গ্রাস করেছিল গোটা দেশের মানুষকে। সেই সঙ্গে মর্মাহত হয়েছিলেন বসিরহাটের ইসরোর বিজ্ঞানী ও তাঁর পরিবারও। বসিরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নৈহাটির প্রাক্তন সেনাকর্মী শচীন্দ্রনাথ সরকার ও রঞ্জিতা সরকারের ছেলে মানস সরকার ২০০৬ সালে ইসরোতে গবেষক হিসাবে নিযুক্ত হন। সেখান থেকে তাঁদের ছেলে একের পর এক স‍্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ দেখলেও চন্দ্রযান ২ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। সেই কথা জানালেন গবেষক পরিবারের মা রঞ্জিতা সরকার ও বাবা শচীন্দ্রনাথ সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২০ লক্ষ কোটির দুর্নীতির ‘গ্যারান্টি’ বৈঠক! বিরোধী জোটের সম্মেলন শুরুর আগে তোপ মোদির]

মা রঞ্জিতা দেবী জানান, বসিরহাট ১নং ব্লকের গাছা-আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কলাপোতা গ্রামে সরকার পরিবারের বসবাস ছিল। সীমান্তের ইডিন্ডা ইউনিয়ান হাই স্কুলে পড়াশোনা শুরু। তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে পড়াশোনার পর হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রফেসর পদে নিযুক্ত হন। রাজ্যপালের কাছ থেকে গোল্ড মেডেলও পেয়েছিলেন। এরকম একাধিক শিরোপা রয়েছে তাঁর শিক্ষার ঝুলিতে। ২০০৬ সালে আমেরিকা থেকে ডাক পেলেও তিনি যাননি দেশের হয়ে কাজ করবেন বলে। তারপর ২০০৬ সালে ইসরো গবেষণা কেন্দ্রে নিযুক্ত হন কারিগরি আধিকারিক হিসাবে।

চন্দ্রযান ১ ও ২ মিশনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে নিযুক্ত ছিলেন। চন্দ্রযান ২ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হলেও শেষ পর্যন্ত চাঁদে পা রাখতে পারেনি। সেদিন ছেলের সঙ্গে গবেষকের পরিবারের বাবা-মা ও অন্য সদস্যরাও মর্মাহত হন। অবশেষে চন্দ্রযান ৩ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল। শেষ পর্যন্ত তা চাঁদে পা রাখতে পারে কিনা, তার দিন গুনছেন গবেষক পরিবারের সদস্যরা। তারা চাইছেন একজন ভারতীয় হিসাবে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক। গোটা দেশ যেমন অপেক্ষা করছে, সেই সঙ্গে অপেক্ষা করছে বাঙালি গবেষকের বাবা-মাও। ছেলের এই সাফল্য কামনায় মা-বাবার চোখে মুখে একদিকে যেমন আনন্দাস্রু, অন্যদিকে চন্দ্রযান যাতে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পারে, সেই কামনা করছে পরিবার।

[আরও পড়ুন: ‘কর্মীরা গুলি খাবে, নেতারা ফিশ ফ্রাই’, বিরোধী জোটের বৈঠক নিয়ে তোপ শুভেন্দুর, ক্ষোভ কৌস্তভেরও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement