সুরজিৎ দেব ও দেবব্রত মণ্ডল: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, নামখানা, কাকদ্বীপ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা, ফ্রেজারগঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার এলাকায়। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও। উপকূল এলাকাগুলি থেকে প্রচুর মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আয়লার স্মৃতি ফেরার আতঙ্কে কাঁটা এইসব এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা।
সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছেন, ঘোড়ামারায় সমুদ্রের কাছে বসবাসকারী মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বের স্থানীয় মহামিলন হাইস্কুল ও দোতলা কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গাসাগরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের স্থানীয় ভারত সেবাশ্রম সংঘ, জেলাপরিষদের পর্যটন আবাস, কলকাতা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি-সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সাগরের বন্যাত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ।
ফণীর আশঙ্কায় মুড়িগঙ্গা নদীতে সকাল থেকেই ভেসেল পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নদী ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে। মুড়িগঙ্গার শীলপাড়া, বঙ্কিমনগরের গৌরাঙ্গ মোড়, বোটখালির সাউঘেরি এলাকা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই সাউঘেরিতে অস্থায়ী নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পর্যটকশূন্য বকখালিও। ওই এলাকার সমুদ্রও বেশ খানিকটা উত্তাল হয়ে ছিল৷ তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা জানিয়েছেন, ব্লকের মোট ২১টি ত্রাণ শিবির খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, সবরকম দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁরা সতর্ক রয়েছেন। মজুত রাখা হয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণসামগ্রীও। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা উপকূল এলাকাগুলিতে পাহারায় রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরেকদিকে, ফণীর প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রচারে বেরিয়েছেন জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর৷ বেলার দিকে বাসন্তী এলাকায় দলীয় কর্মীদের বাইকে সওয়ার হয়ে ভোট প্রচার করেছেন তিনি৷ আগামী ১৯ তারিখ জয়নগরে ভোট৷ তার আগে মাত্র কয়েকদিন সময়, তা নষ্ট করতে রাজি নন প্রার্থীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.