প্রতীকী ছবি।
সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: মাস-মাইনের ব্যবস্থা নেই, কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক পান। বকেয়া পারিশ্রমিক ও স্থায়ী বেতনক্রম চালুর দাবিতে এবার অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিলেন হাওড়া জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সহানুভূতির সঙ্গে দাবি বিবেচনার আরজি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাতে যদি কাজ না হয়, তাহলে অনশনে বসবেন।
একশো দিনের প্রকল্পে এলাকা পরিদর্শন-মাপজোক, কম্পিউটারে তথ্য নথিভুক্ত-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ২০১৭ সালে রাজ্যে প্রায় সাতশোর কাছাকাছি অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে পঞ্চায়েত দপ্তর। হাওড়া জেলায় এমন কর্মীর সংখ্যা ৩০২। পঞ্চায়েত দপ্তরের এই অস্থায়ী কর্মীদের পোশাকি নাম বেয়ারপুট টেকনিশিয়ান। ওয়েস্ট বেঙ্গল বেয়ারপুট টেকনিশিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের হাওড়া জেলার কার্যকরী সভাপতি শ্রীকান্ত জানার বক্তব্য, তিনমাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মপ্রার্থীদের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। তবে মাস গেলে নির্দিষ্ট অংকের বেতন পান না তাঁরা। দিনের হিসেবে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কাজ করতে হয় মাসে মোটে ২০ আর বছরের হিসেবে বড়জোড় ২৪০ দিন।
পঞ্চায়েতের বেয়ারপুট টেকনিশিয়ানদের অভিযোগ, পারিশ্রমিক তো দূর, গত অক্টোবর মাস থেকে একশোর দিনের প্রকল্পে ইমারতি দ্রব্যের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকাও পাচ্ছেন না তাঁরা। পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, অন্য রাজ্যে যাঁরা বেয়ারপুট টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন, তাঁরা মাসে মাসে বেতন পান। এ রাজ্যের স্থায়ী বেতনক্রম ও বকেয়া পারিশ্রমিক মেটানোর আরজি জানিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী-সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে দরবার করেছেন বেয়ারপুট টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মীরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক আশ্বাস মেলেনি বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়েই দাবি আদায়ের জন্য অনশনের পথে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন পঞ্চায়েতের কয়েকশো কর্মী।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পরীক্ষায় পাশ করেও পঞ্চায়েত দপ্তরে চাকরির নিয়োগপত্র না পেয়ে কৃষ্ণনগরে অনশনে বসেছিলেন কর্মপ্রার্থীরা। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.