নন্দন দত্ত, সিউড়ি: গরু পাচার মামলায় প্রায় বছরখানেক ধরে তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে ছাড়াই বীরভূমে প্রথম নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের কাছে যেন এটাই ছিল অ্যাসিড টেস্ট। আর তাতে বেশ সফল ঘাসফুল শিবির। কারণ, অনুব্রতহীন বীরভূমেও ঘাসফুলের রমরমা। বগটুইয়ের চারটি আসনেই জয়ী তৃণমূল।
বগটুই গ্রামের মোট চারটি আসন। মনোনয়ন পর্বের পরই দু’টি পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। জিতেছিলেন লক্ষ্মী বিবি ও নূরে আলম। মঙ্গলবার ভোটের (Panchayat Poll) ফলপ্রকাশের পর জিতলেন তৃণমূলের দুই প্রার্থী রুবিনা বিবি ও নাজেমুল হক। বগটুই কাণ্ডে স্বজনহারা এলাকায় তৃণমূলের নিরঙ্কুশ জয় নিয়েই জেলাজুড়ে জোর চর্চা। তৃণমূলের বিধায়ক তথা জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বগটুই গ্রামে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এটা তার ফল। একইসঙ্গে এটা একটা কুৎসার জবাব।” বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, “পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। অবশ্য আমাদের তো এলাকায় প্রার্থীই দিতে দেয়নি তৃণমূল।”
ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে গত বছর ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে পুড়িয়ে খুন করা হয় ১০ জনকে। যার মূলে ছিল পঞ্চায়েত দখল। বড়শাল পঞ্চায়েতের মধ্যেই পড়ে বগটুই। প্রথমে সেই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে গুলি ও বোমা মেরে খুন করা হয়। তারই পালটা বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে খুন করা হয়।
সেই বগটুই গ্রামেই সবুজ ঝড়। তবে কেবল বগটুই গ্রাম নয়। ওই পঞ্চায়েত অর্থাৎ বড়শাল পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে। বড়শাল পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে তৃণমূল জয়লাভ করে। আর ৮টি বিজেপি ও ৩টি আসনে জয়ী জোট প্রার্থী জয়লাভ করেন। তৃণমূলের দাবি, বগটুই পেয়েছি। কিন্তু কীভাবে ওই এলাকায় বিজেপির প্রভাব বিস্তার করল সেটাও পর্যালোচনা করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.