ছবি: সুনীতা সিং।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বাঙালি মানেই ভূরিভোজ। তারপর আবার যদি উৎসব হয়, তবে তো কথাই নেই। আর ভোট তো এখন উৎসবই! রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) যেমন ভোট দিয়ে খাওয়াদাওয়ার মধ্যে দিয়ে দিনটা কাটিয়েছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী-সহ ভোটাররা, তেমনই গণনার দিনও দেখা গেল গণনাকর্মীদের জলখাবার, মধ্যাহ্নভোজন থেকে রাতের খাবারে এলাহি বন্দোবস্ত। পুরুলিয়া (Purulia) দু’নম্বর ব্লকের ডিসিআরসি’র পুরুলিয়া পলিটেকনিক কলেজের গণনাকেন্দ্রে কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের খাবারের পাতে নানা পদ। জলখাবার থেকে নৈশভোজ – তিন বেলা তিন রকমের খাবার। রাজ্য সড়কের পাশে অস্থায়ী হেঁসেল তৈরি করে দিনভর রান্না হল।
ব্রেকফাস্টে ডিমসেদ্ধ, কেক, রসগোল্লা, নিমকি, কচুরির সঙ্গে আলু-ছোলা দিয়ে তরকারি। মধ্যাহ্নভোজনে (Lunch) ফ্রাইড রাইস, চিকেন কারি, ফ্রুট চাটনি, স্যালাড। আর শেষ পাতে সাদা রসগোল্লা। রাতের আহারে তো একেবারে চিকেন বিরিয়ানি। যারা চিকেন ছোঁবেন না, তাদের জন্য এগ বিরিয়ানিও। সেইসঙ্গে পনির বাটার মশলা। রয়েছে মিষ্টিমুখ করার জন্য রসগোল্লাও। ভোট কর্মী ও পুলিশদের খাওয়াদাওয়ার জন্য পুরুলিয়া দু’নম্বর ব্লকে বরাত পেয়েছেন হিমাদ্রি মাহাতো ও অনাথবন্ধু হালদার। হিমাদ্রির কথায়, “গণনাকর্মী, পুলিশ ও ব্যালট বক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মীদের মিলিয়ে প্রায় ১০০০ জনের বেশি রান্না হচ্ছে। জলখাবার ও দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন কনটেনারে প্যাক করে আমরা গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছি সুষ্ঠুভাবে। এবার রাতের খাবারের প্রস্তুতি শুরু হবে।”
এই গণনা কর্মী ও পুলিশের জন্য হেঁশেল খুলেছে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের পাশেই। গণনাকেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে। একটি দোকান ঘরের সঙ্গে অস্থায়ী ছাউনি করে পেল্লাই সাইজের কড়াইয়ে চলছে এই রান্নাবান্না। চিকেন কারি ও পনির বাটার মশলার গন্ধে ম ম করছে গণনাকেন্দ্রের চারপাশ। পাচকের দায়িত্বে থাকা শচীন রায় বলেন, “যাদের জন্য এই হেঁশেল তারা গণনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। ফলে তাদের রসনা তৃপ্তিতে একটু ভাল করে কষিয়েই রান্না করতে হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.