শংকরকুমার রায় ও কল্যাণ চন্দ্র: ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাগাতার বোমা-গুলি উদ্ধার হচ্ছে। মঙ্গলবারও উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার হল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। উত্তর দিনাজপুরে অভিযান চালায় এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে বন্দুক ও প্রচুর কার্তুজ। ধৃত ১। এদিন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া, বেলডাঙা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে।
প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে শিলিগুড়ির এসটিএফ ও পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। এদিন দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর (১) লাড়ুখোয়া এলাকার বাড়ি থেকে মহম্মদ আলম নামে যুবককে গ্রেপ্তার করে ৫টি রিভলভার ও একাধিক একনলা বন্দুক-সহ ১৮০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে শিলিগুড়ির এসটিএফ ও পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ি পুলিশেল যৌথ তল্লাশি অভিযানে। ভোটের মুখে এত বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার কারণ ঘিরে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। কোথায় থেকে এত পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে এসটিএফের পুলিশ আধিকারিকরা। এসটিএফের ইন্সপেক্টর বিশ্বম্ভর সরকার বলেন,”বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। তদন্তের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করে অস্ত্রের হদিশ জানা সম্ভব হবে।”
সোমবার গভীর রাতে তিন জার সকেট বোমা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় বেলডাঙায়। বেলডাঙা থানার বেগুনবাড়ি অঞ্চলের কাজীসাহা গ্রামের দমদমা মাঠের কালভার্টের নিচে ৩ জার ভরতি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। হঠাৎ করে কোথা থেকে এত বোমা এল তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ। ওই তিনটি জারে প্রায় ১১০টি সকেট বোমা রাখা ছিল। কে বা কারা বোমা ফেলে পালালো তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর অঞ্চলের কলাবাগান পাড়ায় একটি পাটের জমিতে ব্যাগ দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় এলাকার মানুষের। দেখা যায় ওই ব্যাগে আটটি তাজা বোমা রয়েছে। খবর দেওয়া হয় হরিহরপাড়া থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বোমা উদ্ধার করে। ওই বোমা উদ্ধারের ঘটনাগুলিতে আতঙ্কিত জেলাবাসী। পাশাপাশি রানিনগরে গত কয়েকদিনে ৫০টির বেশি বোমা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ডোমকলে ২২ টি , জলঙ্গীতে ১৫ টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে সালারে ১২ টি, সালার থানার খাড়েরা এলাকায় ৭টি বোমা উদ্ধার হয়। এছাড়া বোমাবাজি হয়েছিল সালার থানার ধনডাঙাতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.