ধীমান রায়, কাটোয়া: দীর্ঘদিন নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আবহে ফের সক্রিয় হয়েছেন পদ্ম শিবিরের তারকা নেতা তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Jay Banerjee)। তবে ভোটের প্রচারে বেশ বেসুরো তিনি। রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় দলের প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্পর্কে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন জয়। তবে আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার বিকেলে কাটোয়ার (Katwa)খাসপুরে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে একটি পথসভা করে বিজেপি। এখানে মূল বক্তা ছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আমি বিজেপির(BJP) মঞ্চ থেকে বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লড়াইটা দিয়ে মহীরুহ সিপিএমকে সরিয়েছিলেন সেই লড়াইয়ের কোনও তুলনা হয় না। এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যেভাবে চলেন, যেভাবে সৎপথে থাকেন তারও তুলনা হয় না। তবে আমরা ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে দেখতাম পাথরের কুচি, লোহার কুচি পড়ে আছে কিনা। আমরা সবথেকে ভয় পেতাম লোহার পেরেক কে। কারন পেরেক একবার পায়ে ঢুকে গেলে টিটেনাস হওয়ার ভয় থাকে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলার পেরেক হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। যা নিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে যদি তৃণমূলটা থাকত তাহলে আরও অনেকদিন আরামসে তৃণমূলটা চলত। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছে। আমাদের বিরোধীদের খুব সুবিধা হয়েছে।”
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে উলুবেড়িয়া (Uluberia) কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে রাজনীতির ময়দানে খুব একটা দেখা যায়নি। মাঝে তাঁর গলার সুরও ছিল বেসুরো। তখন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই ভেবেছিলেন, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত তিনি শিবির বদল করতে পারেন।
এদিন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে বলেন,”২০১৯ সালে আমাকে বীভৎসভাবে মারা হয়েছিল। ফুসফুসে গুরুতর আঘাত লাগে। তারপরেও আমি বিজেপির হয়ে প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। ২০২০ সালে কোভিডে আক্রান্ত হই। ২০২১ সালেও পোস্ট কোভিডে অসুস্থ ছিলাম। গত বছর বাবা মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়ি। গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে জে পি নাড্ডাজির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তিনিই আমাকে প্রেরণা দেন। আমার বাবারও ইচ্ছা ছিল আমি বিজেপিতেই থাকি। তাই আবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলাম।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.