ছবিতে এই সেই কাটা গাছ, ছবি : রতন রায়।
রাজা দাস, বালুরঘাট: অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান। পঞ্চায়েত প্রধানের নাম অঞ্জনা সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে সরব পঞ্চায়েত অন্য সদস্যরা। পঞ্চায়েত প্রধানের বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের শিরষি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত শিরষি গ্রামের জোতগৌরি বুথের আদিবাসি পাড়ায় রয়েছে বহু সরকারি গাছ। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে রবি শিকদার নামে এক ঠিকাদার ওই এলাকার গাছগুলি কাটতে শুরু করেন। আচমকা গাছ কাটার ঘটনায় স্থানীয়রা আপত্তি তোলেন। ঠিকাদারকে বাধাও দেওয়া হয়। যদিও সেই বাধা মানতে চাননি ঠিকাদার রবি শিকদার। তাঁর পালটা দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই গাছ কাটছেন তিনি। যদিও নির্দেশ সংক্রান্ত কোনও কাগজ বা নথির কিছুই দেখাতে পারেননি ওই ঠিকাদার। পঞ্চায়েতে গিয়ে নালিশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় হতবাক পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরাও নাকি গাছ কাটার বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানেন না। সদস্যদের অন্ধকারে রেখেই শিরষি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জনা সরকার গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ । পঞ্চায়েত সদস্য সোনামণি লাহা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয় বিডিও, থানা, বনবিভাগ ও গঙ্গারামপুর মহকুমার শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্য সোনামণি লাহার বক্তব্য, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন প্রধান। ঘটনার তদন্ত করে হওয়া দরকার। গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক দেবাঞ্জন রায় জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তারপর ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন ও থানাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওটা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিরষি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জনা সরকার। তাঁর পালটা দাবি, কাটা গাছগুলি মরে গিয়েছে। রাতে দুষ্কৃতীরা তা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। সেজন্যেই গাছগুলি কাটানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.