Advertisement
Advertisement
Panchayat Poll

Panchayat Poll: নকশি কাঁথা বুনে সংসারযাপন, সেই বিদায়ী উপপ্রধানই ভোটযুদ্ধে ফের তৃণমূলের সৈনিক

স্থানীয়রা জানেন, তৃণমূল প্রার্থী তাপসী মানে পরিশ্রম ও সততার আরেক নাম।

Panchayat polls: Weaver gets TMC ticket at Birbhum | Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 26, 2023 7:24 pm
  • Updated:June 26, 2023 7:24 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সারা বছর এলাকার বাড়ি বাড়ি পুরনো কাপড় চাইতে যান। ভোটের আগে তিনিই এবার ঘরে ঘরে যাচ্ছেন ভোট চাইতে। তিনি কুণ্ডলা পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান তাপসী হাওলাদার। উপপ্রধান থাকলেও শীতের নকশি কাঁথা, পুরনো কাপড়ে বালাপোষ বুনেই সংসার চালান। সে জন্য তার সংশয় নেই। লজ্জা নেই। বরং নিমপুরের বাসিন্দা জানেন তাপসী মানে পরিশ্রম ও সততার আরেক নাম।

সামনে ভোট। তারপরেই শীত। তাই ফুরসত নেই নিমপুর গ্রামের ছোট্ট একটা টালির ঘরের বাসিন্দা তাপসীর। পাঁচ বছর উপপ্রধান, নিজের একটা আবাস যোজনার ঘর নেই। নিজের লক্ষ্মী ভাণ্ডার আছে। তবে শাশুড়ি পাননি। সরকারি প্রকল্পের কোনও বাড়তি সুবিধা তাঁর ঘরে মেলেনি। সে ঘরে গেলেই বোঝা যায়। এখনও টালির চালায় চ্যালা কাঠ ঠেলে সকালের রান্না করেই বেরিয়ে পড়তে হয়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরনো কাপড় চেয়ে আনেন। তার ভিতরে তুলো ভরে সুতোর বুনোটে বালাপোষ তৈরি করেন। আর না হলে পঞ্চায়েতের কাজে এলাকায় খোঁজ নিতে বেরন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সমবায় সমিতিতে ঢুকে লুটপাট, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে পালাল ডাকাতদল]

সিউড়ির কচুজোড়ের মেয়ে তাপসী ১৪ বছর আগে নিমপুরে আসে। বাপের বাড়ি থেকেই হাতের সেলাই আর লড়াই করার পাঠ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসা। পাঁচ বছর শ্মশান ঘাট, রাস্তা, আলো,দুর্গা-শিবমন্দির, জলাধার, সোলার আলো সব করেছেন উপপ্রধানের দায়িত্বে থেকে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি তো দূরে থাক। তার কাজ আর আন্তরিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। এতটাই সাধারণ তাপসী। তিনি জানান, “স্বামী উত্তম হাওলাদার পার্টি কর্মী। তাকে সাহায্য করতেই তার সঙ্গ দিতেই তৃণমূল করা। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবেসে দলে
আসা।”

তাপসীর ডাক পরে যখন তখন। তখন বরিশালের শাশুড়ি কমলা হাওলাদার বউমার অসমাপ্ত কাজ নিজে হাতে সেলাই করে তুলে দেন। তাপসী বলেন, “উপপ্রধান হয়ে একটা কাদায় গাঁথা ঘরের মাথায় ছাদ দিতে পেরেছি। তাও ধার করে।” মেঘনাদ নামে একটা স্বনির্ভর দল চালিয়ে সেখান থেকে ঋণ নিয়ে তাই দিয়েই সংসার চালান। শাশুড়ি কমলা বলেন, “হাতের কাজ না করলে খাব কী? ছেলে তো ভোলেভালা। পার্টি ছাড়া কিছু বোঝে না। যখন ওর ১২বছর বয়স তখন থেকেই রক্তদান করে। প্রতিমাসে রক্ত দেয়।”

তাপসী বলেন, “এই এলাকায় এমন কোনও অসুস্থ নেই যাঁকে রক্ত দেননি স্বামী। তিনি সমাজসেবী।” এই রাজ্যে যেখানে শাসক দল মানেই নানা প্রশ্ন। সেখানে এমন উপপ্রধান যেন আরব্য রজনীর গল্পের থিম। তাই ভোটের থেকে শীতের চিন্তা বেশি তাপসীর। জনসম্পর্ক তো সারা বছরের। গতবারেও ৭ নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী (Bengal Panchayat Election) ছিলেন। এবারেও সেই আসনে জোড়া ফুলের প্রার্থী তিনি।

[আরও পড়ুন: বনগাঁয় বিজেপি-কংগ্রেস জোটের ব্যানার ভাইরাল নেটদুনিয়ায়! অধীরকে বিঁধলেন দেবাংশু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement