সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেয়নি। তাই নির্দলের হয়েই ভোটে লড়বেন সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের বাবা।
সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ায় জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসন থেকে লড়তে চেয়ে দলের কাছে টিকিট চেয়েছিলেন তাপসীর বাবা মনোরঞ্জন মালিক। মনোনয়নও জমা দিয়ে আসেন। তাঁকে সমর্থন করে দলের কাছে দরবারও করেছিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কিন্তু তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁরা যেখানে দলের জয়ী পদাধিকারী, তাঁরা এবারও প্রার্থী। সেই হিসাবেই প্রাক্তনদের টিকিট দেওয়া হয়। আরেক বিধায়ক বেচারাম মান্না ওই এলাকায় টিকিট বিলির দায়িত্বে। তিনি বলছেন, “গতবার পূর্ণিমা মালিক ওই এলাকা থেকে জিতেছিলেন। দলের নির্দেশ মেনে তাঁকেই আবার দল প্রার্থী করেছে। সেখানেই বারবার টিকিট চেয়ে দরবার করছিলেন মনোরঞ্জনবাবু। তাঁর সঙ্গে তো দলের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু দলের নির্দেশ তো আমি অমান্য করতে পারি না।”
এই পরিস্থিতিতে মনোরঞ্জনকে বুঝিয়ে মনোনয়ন তুলতে আবেদন জানায় দল। জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে বৈঠকও করে। তারপরও নাছোড় ছিলেন মনোরঞ্জন। মাঝে একবার বিজেপির হয়ে দাঁড়াবেন বলে দলকে হুমকিও দিয়ে বসেন। দল তার পরও তাঁর প্রতি নরম মনোভাব দেখায়। পরে সেই পথ থেকে সরে দাঁড়ালেও মনোনয়ন তিনি তোলেননি। শেষে শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে দাঁড়িয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, মনোনয়ন তিনি তুলবেন না। দল প্রতীক দেয়নি। তার পরও ভোটে লড়বেন। এবং সেটা নির্দল হয়েই। যদিও সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তাঁর ব্যাখ্যা, “স্ত্রী অসুস্থ। তাই মনোনয়ন তুলতে যেতে পারিনি।” অন্যদিকে, তাঁকে টিকিট না দেওয়া নিয়ে দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েও বেচারাম মান্নার দিকে আঙুল তুলেছেন মনোরঞ্জন। বলেছেন, “আমি দলের অনুগত। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন তাই করব। কিন্তু এটা কি ন্যায় বিচার হল? আমার মেয়ের খুনির এক আত্মীয়কে টিকিট দিল বেচা মান্না। আমি কী আর এমন চেয়েছিলাম?” রবিবারও তিনি নিজের অবস্থানে অনড়। বলেছেন, “নেত্রীর কাছে নিশ্চয়ই বার্তা গিয়ে পৌঁছেছে। দেখা যাক কী হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.