দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শেষ পর্যন্ত পদ্মফুল ছেড়ে নৌকা প্রতীকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ছেন বিজেপি কর্মী। তারকেশ্বরে প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল যে ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করেছে তা হারু মাঝির নৌকা প্রতীকে দাঁড়ানোতেই স্পষ্ট। আদতে যা বিজেপির অন্দরে বড় রকমের ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
[ কাস্তে-হাতুড়ি ছেড়ে হাতে পদ্ম খোদ রামচন্দ্র ডোমের ভাইয়ের ]
বিজেপির প্রতীক না পেয়ে বিজেপির সক্রিয় কর্মী হারু মাঝি নির্দল প্রার্থী হিসেবে কেশবচকের তালপুর ১ গ্রামসভা থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন। হারু মাঝির সমর্থনে দেওয়ালে লেখা হচ্ছে, বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। প্রতীক চিহ্ন নৌকার মধ্যে জ্বলজ্বল করছে বিজেপি লেখা। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেও গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে প্রতীক পাননি হারু মাঝি। প্রার্থী হারু মাঝি জানান, প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে তারকেশ্বর মণ্ডলের সভাপতি এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন। তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগই করা হয়নি বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে তারকেশ্বর মণ্ডলের সভাপতি জগন্নাথ দাস অবশ্য বলেন, যিনি প্রার্থী তিনি হয়তো বিজেপিকে ভালবাসেন তাই বিজেপি সমর্থিত বলছেন। তাঁরা এখনও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেননি। তারা যোগ দিতে চাইলে সাদরে গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু উলটো সুর শোনা গেল তারকেশ্বরেরই এক বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তীর মুখে। তিনি কিন্তু হারু মাঝিকে দলীয় কর্মী হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে বলেন, বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন ওই কর্মী। কিন্তু তৃণমূলী সন্ত্রাসের কারণে ওই প্রার্থীর প্রতীক চিহ্ন জমা করা যায়নি। তবে এলাকার একাংশের বক্তব্য, যেখানে ভোটে বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না সেখানে দলীয় প্রতীকে না দাঁড়িয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোই প্রমাণ করছে বিজেপির নিজেদের মধ্যেই ঐক্য নেই। তাই ভরাডুবি থেকে উদ্ধার পেতে নৌকাই এখন ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিজেপির গোষ্ঠীকেন্দলের পাশাপাশি চুঁচুড়া মগরা ব্লকের দেবানন্দপুরে জেলা পরিষদের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী মৌমিতা মিত্র মিশ্রর প্রচারের সমস্ত ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৌমিতা মিত্র মিশ্রর অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল। বুধবার রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই তাঁর সমস্ত ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.