গোবিন্দ রায়: শাসকদলের বিরুদ্ধে ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়ায় ধরা পড়ল উল্টোচিত্র। দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠল বামেদের বিরুদ্ধে। তাদের কীর্তিকলাপের ভিডিও টুইট করেছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির যুব সভাপতি পলাশ সরকারের কটাক্ষ, “আপনারা প্রকাশ্যে দেখলেন, তৃণমূলের ছাপ্পা সঙ্গী এখন বামেরা। পাটনা প্রেম কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে বুঝুন। বাংলার মানুষ তাই বিজেপিকেই বিকল্প হিসাবে চাইছে।”
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের আটুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮৩ নম্বর বুথ। আটুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষের একাংশের দরজা-জানালা বন্ধ। টেবিলের জ্বলছে ছোট একটি মোমবাতি। সেই আলো-আধাঁরির মধ্যেই দুই যুবককে দেদার ছাপ্পা দিতে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ছাপ্পা ভোট দেওয়া দুজনকে হাতেনাতে ধরতেই দেখা গেল বিরোধী সিপিএম শিবিরের ছাপ্পা দিচ্ছেন তাঁরা। ব্যালট পেপারে জ্বলজ্বল করছে সিপিএমের প্রতীক ‘কাস্তে হাতুড়ি’। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আটুরিয়া পঞ্চায়েতের যে বুথে ছাপ্পা চলছিল, তার একদম সামনেই পাহারায় ছিল রাজ্য পুলিশ। আটুরিয়া গ্রামের স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গ্রামের বিভিন্ন বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতেই। এদিন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
.@CPIM_WESTBENGAL‘s decades-long reign of electoral fraud and deceit catches up with them in this year’s panchayat elections.
Watch as the CPIM is caught red-handed rigging votes at Baduria Gram Panchayat in North 24 Parganas!
Their devious practices stand EXPOSED! pic.twitter.com/QfF8RtOFEu
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 8, 2023
তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার কিছু সময় আগে এই বাদুড়িয়া ব্লকের আঠুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Poll) ১৮৩ এবং ১৮৪ নম্বর বুথের বেশ কিছু ব্যালট পেপার চুরি হয়ে যায়। এরপর সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফের পক্ষ থেকে আটুরিয়া বাজারে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধ তুলে দেয়। পরে প্রতিবাদে বসিরহাটের ইটিন্ডা রোডে ইছামতি ব্রিজের কাছে বোর্ট ঘাটে সিপিএমের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। তাঁদের দাবি, একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস ছাপ্পা বোমাবাজি হয়েছে। পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা সমস্ত বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন।
বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস কে জানান, “এখনও পর্যন্ত নির্বাচন বিঘ্ন হওয়া নিয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। যা মৌখিক অভিযোগ এসেছে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তবে তাঁর দাবি, “অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিস ইনফরমেশন দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.