ফাইল ছবি।
মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের ‘হিংসাত্মক’ হয়ে ওঠার পরামর্শ দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার হাওড়ার শ্যামপুরে র্যালিতে যোগ দিয়ে তিনি ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের লোকদের মাথা ফাটানোর নিদান দিলেন। তার চেয়েও বড় বিতর্ক (Controversy) উঠল বিডিওদেরও পিঠে লাঠির ঘা দেওয়ার পরামর্শে। এদিন তিনি হাওড়ার শ্যামপুরে হোগলাসি থেকে দেউলি বাজার পর্যন্ত একটি র্যালিতে যোগ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে। সেখানেই তিনি এহেন কুরুচিকর মন্তব্য করেন।
বিজেপি (BJP) কর্মীদের চাঙ্গা করতে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ”নির্বাচনের দিন টেবিল ছাড়বেন না। মাথা ফাটে ফাটবে। হাত ভাঙে ভাঙবে। যদি মাথা ফাটাতে হয় তাও ফাটাবেন। জামিন করার দায়িত্ব আমার। বিডিওদের বলা হয়েছে, বেশি বেশি ব্যালট ছাপানোর জন্য। বিডিওরা যদি ব্যালট ছাপে, বিডিওদের পিঠেও লাঠির ছাপ দিয়ে দেবেন। আমি বাঁচাব তারপর। ভয় পাবেন না।” তিনি আরও বলেন, ”আমি জানি ওসি, আইসিদের দিয়ে বুথ জ্যাম করানোর চেষ্টা হচ্ছে, ভোট করানোর চেষ্টা হচ্ছে। বেশি বেশি ব্যালট ছাপা হচ্ছে। আপনারা ব্যালট বাক্স পাহারা দেবেন। ব্যালট বাক্স যখন পুলিশ স্ট্রং রুমে নিয়ে যাবে তখন আপনারাও ঝান্ডা ও ডান্ডা নিয়ে পুলিশের পিছনে পিছনে যাবেন। ডুপ্লিকেট ব্যালট ঢোকানো হচ্ছে কিনা দেখবেন।”
শুধু তাই নয়, ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল বারবার যে অভিযোগ তোলে, তাতেই কার্যত সিলমোহর দিয়ে ফেলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ”চোর নেতাদের তিহারে পাঠাব। এখানেও নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বলে দিন, ভোটে তেড়িমেড়ি করলে আগেই ব্যবস্থা হয়ে যাবে।” তাঁর এসব বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শ্যামপুর এলাকার তৃণমূলের সম্পাদক শ্যামসুন্দর মেটিয়া বলেন, ”উনি অধ্যাপক মানুষ। এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য ওঁর শোভা পায় না। আসলে ওঁরা তো সব জায়গায় পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারেননি। সংগঠন নেই। তাই হতাশা থেকেই এই ধরনের কথা বলছেন। এমন কুরুচিকর কথা বললে ওঁদের সমর্থকরা কী শিখবেন?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.