রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার সকালেও উত্তপ্ত নদিয়ার তেহট্ট। রাতে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন থানার আইসি-সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। এদিন সকালে পুলিশের বিরুদ্ধেই সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে ছিল স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতাও। অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, রাতের ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তৃণমূলের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক তাপস সাহাও।
বুধবার সন্ধেয় নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Poll) আশরফপুর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তেহট্ট থানার আইসি-সহ ১৪ জন। তাঁদের মধ্য়ে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপর এদিন সকালে সিপিএম সমর্থকদেকর বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সিপিএম সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের কয়েকজন স্থানীয় নেতা পুলিশকে বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে ঢুকে তল্লাশির নামে চলে ভাঙচুর। এমনকী, টাকা-সোনা লুটেরও অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। আপাতত সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি পুরুষশূন্য়। কিন্তু ভাঙচুর, লুটের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সরব তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার দাবি, “সিপিএম অশান্তি করেছে। আমাদের দল এর সঙ্গে যুক্ত নয়। ওদের জেলা পরিষদের প্রার্থী অশান্তি করছে। আর পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও নেতা ছিল না।”
প্রসঙ্গত, নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশরফপুর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ, হাঁসুয়া, ইট, বাঁশ দিয়ে হামলা চালানো হয়। তাতেই গুরুতর জখম হন তেহট্ট আইসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। অল্পবিস্তর চোট পান পুলিশের গাড়িচালক এবং সিভিক ভলান্টিয়াররাও। পুলিশের গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আইসি’র অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.