Advertisement
Advertisement
TMC

পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী বিরোধীদের ‘অপহরণে’র অভিযোগ, এবার তৃণমূলে যোগ সেই কৃষ্ণচন্দ্রপুরের সদস্যদের

গত পঞ্চায়েত ভোটে মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এখানকার জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য় তৃণমূল অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

Panchayat members of CPM and BJP join TMC just after Bapi Haldar wins from Mathurapur in Lok Sabha Election
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 7, 2024 8:46 pm
  • Updated:June 7, 2024 9:06 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এলাকায় এলাকায় বিরোধী শিবির থেকে শাসকদলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রও তার ব্যতিক্রম নয়। শুক্রবার মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার বিরোধী সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের সদস্যদেরই অপহরণ করে তৃণমূলে যোগদানের চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সিপিএম ও বিজেপি থেকে ওই চার সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপি-সিপিএম-নির্দল পরিচালিত পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনতে চলেছে শাসকদল। আর তা নিয়েই এখন সরগরম এলাকা।

গত পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) পর থেকেই মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। পঞ্চায়েত ভোটে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫ টি আসনের বিজেপি দখল করেছিল ৬ টি আসন, তৃণমূল পায় ৪ টি, সিপিএম তিনটিতে ও নির্দল প্রার্থীরা দুটি আসনে জয়লাভ করে। এর পরই বোর্ড গঠন নিয়ে চলে শাসক ও বিরোধী শিবিরের চাপানউতোর। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল (TMC) ভয় দেখিয়ে জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সমর্থন জানানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকী জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের আত্মগোপনও করে থাকতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। অনেকেরই আবার অভিযোগ ছিল ওই চার বিরোধী সদস্যকে তৃণমূল অপহরণ করে আটক করে রাখে। তা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট তোলপাড় হয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজনীতির চাপে ইন্ডাস্ট্রি কি কম গুরুত্ব পাবে? উত্তর দিলেন দেব, রচনা, জুন, সায়নী]

এবার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024)ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার প্রায় ১১০০ ভোটে লিড পেয়েছেন। লোকসভা ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর হাত থেকে শুক্রবার ঘাসফুলের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নিলেন ওই পঞ্চায়েতের চার বিরোধী সদস্য। এই চারজনের মধ্যে তিনজনকেই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময় আটক করে রাখার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। যে চার বিরোধী সদস্য এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPM) থেকে আসা পারমিতা প্রামাণিক, পূজা ছাঁটুই এবং জোবেদা শেখ ও নারায়ণ হালদার। তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যরা এদিন বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতে এবং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে শাসকদলে তাঁদের এই যোগদানের সিদ্ধান্ত। এব্যাপারে তাঁদের উপর কোনও চাপ ছিল না। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

[আরও পড়ুন: মুরগির ডিম ফাটাতেই বেরল সাপের বাচ্চা! চক্ষু ছানাবড়া জামুরিয়ার বধূর]

নতুন মুখ হিসেবে এবারই প্রথম সংসদে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার (Bapi Haldar) বলেন, ”পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে মিথ্যে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল, এদিন ওই চার বিরোধী সদস্যের শাসকদলে যোগদানে তা আরও একবার স্পষ্ট হল। পঞ্চায়েত ভোটের পরপরই বিজেপি ও সিপিএমের টিকিটে জেতা দুই প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এবার আরও চার বিরোধী সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এখন কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে শক্তিশালী হল তৃণমূল।” দলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েতের চার বিরোধী সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে বাপি হালদারের আরও বক্তব্য, শিগগিরই তৃণমূল বর্তমানের জোট পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement