নন্দন দত্ত, বীরভূম: অনুব্রতহীন বীরভূমে ভোটের (WB Panchayat Election 2023) আগে আক্রান্ত তৃণমূল। প্রচার সেরে ফেরার পথে ময়ূরেশ্বরে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ। অন্যদিকে, মহম্মদবাজারেও আক্রান্ত তিন তৃণমূল সমর্থক। প্রতিক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় বিজেপি। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
রবিবার রাতে একটি ঢেকা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল অঞ্চল সম্পাদক মোস্তফা শেখ। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ঢেকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেরা গ্রামের বাইরে একটি পুকুর পাড়ে তাঁর পথ আটকে মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে রাতেই চড়াও হয় তৃণমূল। তাঁর বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। বিজেপির কনভেনার প্রশান্ত পাল বলেন, “রবিবার সন্ধেয় আমার বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমার বাড়ি ও ভাঙচুর করে।” দু’পক্ষই ময়ূরেশ্বর থানায় অভিযোগ করেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
একইভাবে রবিবার সন্ধেয় মহম্মদবাজারেও আক্রান্ত হয় তৃণমূল। তৃণমূলের মহম্মদবাজার ব্লকের যুগ্ম সভাপতি কালী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কাপিষ্ঠা পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিন তৃণমূল সমর্থক। প্রচার শেষে তাঁরা মুরালপুর গ্রামে ফিরছিলেন। বাসস্ট্যান্ডের কাছে মাঝপাড়া মাঠের কাছে তাদের পথ আটকে মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁদের ফেলে পালিয়ে যায়।
মহম্মদবাজার থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে মহম্মদবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে সিউড়ি ও কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিজেপির প্রচার ও ভোটকর্মীদের আটকাতে পুলিশ মিথ্যা মামলা রুজু করেছে। এই ঘটনায় মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে ২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিজেপি সমর্থক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.