বাবুল হক, মালদহ: শাশুড়ি বিধায়ক। তবু পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) টিকিট পেলেন না জামাই। আর এতেই শাশুড়ির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। জামাইয়ের অভিযোগ, ‘‘পারিবারিক বিবাদের জেরে প্রার্থী তালিকা থেকে বিধায়কই আমার নাম কেটে বাদ দিয়েছেন। অথচ দশ বছর ধরে তৃণমূলের কর্মী হিসাবে কাজ করছি।’’ যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিধায়ক শাশুড়ি সাবিত্রী মিত্র। শাশুড়ি-জামাইয়ের বিবাদ ঘিরে আপাতত সরগরম মালদহের মানিকচক।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ (Maldah) জেলা পরিষদের মানিকচকের অন্তর্গত ২৮ নম্বর আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন সোমদীপ সরকার। তৃণমূলের যুবনেতা সোমদীপ মানিকচকের (Manikchak) বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, ওই আসনে সাবিত্রী মিত্রর জামাই সোমদীপের নাম নেই। সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি কবিতা মণ্ডলকে। এরপরই শাশুড়ি সাবিত্রী মিত্রের (Sabitri Mitra) বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সোমদীপ।
তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক সোমদীপ সরকার বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসাবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছি। এক বছর আগে থেকে মানিকচক বিধানসভার জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের অন্তর্ভুক্ত চারটি অঞ্চলে বুথ কমিটি গঠন ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমিই জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের মূল দাবিদার ছিলাম। কিন্তু শাশুড়ি তথা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের সঙ্গে আমার পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। আর তাই আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’
সোমদীপের অভিযোগ, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। জেলা পরিষদের (ZP) প্রার্থী না হওয়ার ফলে বর্তমানে তাঁর অনুগামীরা যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সিও এই ‘গৃহযুদ্ধ’ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.