সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) পুনর্নির্বাচনেও বিভ্রাট। মায়ের ভোট দিলেন ছেলে! প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না, দেখেননি। ছেলের দাবি, মায়ের চোখে সমস্যা রয়েছে। বুথে ঢুকে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। তিনিই ছেলেকে ডেকে ভোট দিয়ে দিতে বলেন। সোমবার কাঁকসার (Kaksa) আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের শোকনা গ্রামের ১৫১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনের (Repoll) এই ঘটনায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
সোমবার শোকনা গ্রামের ১৫১ নম্বর বুথে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয় নির্দিষ্ট সময়ের বেশ খানিকটা পরে। পুনর্নির্বাচনের নোটিস আসতে দেরি হওয়ায় রাত ১২টার পর মাইকে এলাকায় প্রচার করা হয় যে ফের ভোট হবে কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের বসুধার ১৯,২০ নম্বর ও আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের বামনাবেড়ার ১৪৪,১৪৫ এবং শোকনার ১৫১ নম্বর বুথে। শনিবার, পঞ্চায়েত ভোটের দিন শোকনার এই বুথে বামেরা অশান্তি বাঁধায় বলে অভিযোগ। তাই পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত।
কিন্তু ফের ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বিতর্ক (Controversy)। অভিযোগ, স্থানীয় প্রবীণ ভোটার অশোকা বাউরির হয়ে ভোট দিলেন পরমেশ্বর বাউরি নামে এক ব্যক্তি। নিজেকে তিনি অশোকাদেবীর ছেলে বলে দাবি করে পরমেশ্বর বলেন, “মা চোখে দেখতে পান না। চোখে গ্লুকোমা আছে। বুথের ভিতর আলো ছিল না তেমন। মা ভোট দিতে ঢুকে কিছু দেখতে পাচ্ছিল না। আমাকে ডেকে বলেন, কিছু দেখতে পাচ্ছে না, আমি যেন ভোটটা দিয়ে দি। তাই প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে মায়ের নির্দেশমতো আমি ভোট দিলাম।”
যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সংবাদমাধ্যমের সামনে স্পষ্ট জানান যে এমন কোনও ঘটনা ওই বুথে ঘটেনি। তিনি জানেনই না। আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ নিয়ে অবশ্য এখনও কমিশনে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.