অর্ণব দাস, বারাসত: দুই ভাই একে অপরের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় চর্চা এসেছিল হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের ভরকুন্ডা পঞ্চায়েত। ফের একই পঞ্চায়েতে ৩৭ নম্বর বুথে ভাসুর-বউমার লড়াইয়ের খবর সামনে এল। প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী ভাসুর দাঁড়িয়েছেন নির্দল হিসেবে। আর বউমা দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে।
একদা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ভাসুর সাধনচন্দ্র ঘোষ দাঁড়িয়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বউমা পায়েল ঘোষ হয়েছেন শাসকদলের প্রার্থী। একই পরিবারের জমজমাট এই লড়াই উপভোগ করছেন হাবড়া (Habra) মানুষজন। আদর্শের লড়াই হলেও পরিবার এর প্রভাব পড়বে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ। তিনি আবার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান। গতবার তিনি ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের ৩৭ নম্বর বুথ থেকেই জয়ী হয়েছিলেন। এবার তিনি জেলা পরিষদের প্রাথী হওয়ায় এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ছেলের বউ পায়েল ঘোষ। তাঁর বিপরীতে নির্দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বৃন্দাবনবাবুর ভাইপো সাধনচন্দ্র ঘোষ। তিনি আগের তৃণমূলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ফলে একই পরিবারের খুড়তুতো ভাসুরের বিরুদ্ধে বউমার লড়াই এখন জমে উঠেছে। দুই প্রার্থী এখন প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন জোরকদমে।
তবে, ভোটের লড়াই পরিবারে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। তাই প্রার্থী হওয়ার পর ভাসুরের বাড়িতে গিয়ে বড়দের প্রণাম সেরে এসেছেন তৃণমূলের প্রার্থী বউমা পায়েল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনি কেন দাঁড়িয়েছেন জানি না। ভোটের লড়াই পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে তৃণমূল জয়ী হবে বলেও আশাবাদী তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দল প্রার্থী সাধনচন্দ্র ঘোষ বলেন, “প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু বিদায়ী প্রধান বৃন্দাবন ঘোষ আলোচনা না করেই তাঁর ছেলের বউকে তৃণমূলের প্রার্থী করেছেন। এটা আমার পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই, নীতির লড়াই।” তবে, পারিবারিক সম্পর্ক ক্ষুন্ন হবে না বলেও জানান তিনি। তৃণমূল নেতা বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, “দল যাকে প্রার্থী করেছেন, তিনিই প্রার্থী হয়েছেন। কিছু লোকের ইন্ধনে সাধন নির্দলের প্রার্থী হয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.