শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayat Poll) মনোনয়ন পর্ব মিটলেও দলীয় প্রতীক অর্থাৎ ঘাসফুল প্রতীক মেলেনি। আর সেই প্রতীক বিলি নিয়ে অশান্তি তৈরি হল পশ্চিম বর্ধমানে। আসানসোল জেলা তৃণমূল অফিসের কার্যালয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল প্রার্থীদের একাংশের। নিজেদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক বিবাদে জড়ালেন তৃণমূল কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসতে হয় পুলিশকেও।
শনিবার রাতে আসানসোল রাহালেন পার্টি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। সূত্রপাত রানিগঞ্জের জেমেরি পঞ্চায়েতকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, রানিগঞ্জ গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবনারায়ণ দাস তাঁর অনুগামীদের মনোনয়ন করালেও দলীয় টিকিট বা সিম্বল দিতে পারেননি। একইভাবে ওই রানিগঞ্জ এলাকায় আরেক তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংয়ের গোষ্ঠীরও অভিযোগ, তাঁরা সিম্বল পাননি। সিম্বল দেওয়া হচ্ছে দেবনারায়ণ গোষ্ঠীকে। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি থেকে হাতাহাতি বাঁধে।
দলীয় কার্যালয়ের ভিতর তখন ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা অভিজিৎ ঘটক ও শাহিদ পারভেজ। ঝগড়া বিবাদের মধ্য দিয়ে হেনস্তার শিকার হন শাহিদ পারভেজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তৃণমূল নেতৃত্ব। দু’পক্ষকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলেও চাপা ক্ষোভ রয়েছে বলেই খবর। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সংসার বড় হলে একটু সমস্যা হয়। বিবাদ মিটে গিয়েছে। শাহিদ পারভেজের দাবি, বহিরাগতরা ঢুকে অশান্তি পাকিয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনয়ন জমা পড়েছে ১১৩৬ অর্থাৎ আসন সংখ্যা থেকে ১০৬টি বেশি। জেলায় পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ১৭২টি। তৃণমূল কংগ্রেস মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ২০১টি অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যা থেকে বেশি ২৯টি। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার যথেষ্ট সময় রয়েছে। কিছু কর্মী অতি উৎসাহিত হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.