স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর: ‘মাতৃ ক্রোড়ে শিশু’ ও শুকনো বর্ষায় ‘আম’ এই দুই ছাপই ছাপিয়ে গেল ঘাসফুলকে। তৃণমূল বিক্ষুব্ধ দুই জয়ী নির্দলকে নিয়ে বিপাকে শাসকদল।
এক নির্দল নাকি জয়ের পরই তৃণমূলের (TMC) পতাকা নিতে ‘দৌড় ঝাঁপ’ শুরু করেছিলেন। তবে বিক্ষুব্ধ নির্দলদের নিয়ে কড়া মনোভাব তৃণমূলের জেলা সভাপতির। অন্ডালের উখড়া পঞ্চায়েতের ২৭টি আসনের মধ্যে ২৫ টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আর দুটিতে জয়ী হয়েছে বিক্ষুব্ধ নির্দল। উখড়ার সফিকনগর এলাকা থেকে ‘‘মায়ের কোলে ছেলে’ চিহ্নে জয়ী হন শেখ সমীর।
উখড়ার দাসপাড়ায় ‘আম’ চিহ্নে জয়ী হয়েছেন সুলতা দাস। নির্বাচনের দিন শেখ সমীরকে অপহরণ করেছিল তৃণমূল বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী শেখ সমীর। সুলতা দাস রাজনীতি না করলেও শাসকদলের ‘দাদা’র মদতে প্রার্থী হয়ে যান। দুই নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন থেকে নির্বাচনে লড়াইয়ের পেছনে ‘দাদা’র মদত আসলে শাসক দলের নিজস্ব দ্বন্দ্ব বলেই মনে করছে দলের একাংশ। নিজে প্রার্থী হতে না পেরে অন্যকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে দলকে বিপাকে ফেলাই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। যদিও জয়ের পর দুই নির্দল স্বেচ্ছায় ‘আত্মগোপন’ করেছেন। তাঁদের ফোন বন্ধ। দলের মদতদাতা ‘দাদা’র আদেশেই এই আত্মগোপন বলেই মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ।
সেই দাদারাও নির্দলদের জয়ের পর এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে অত্যন্ত কড়া মনোভাব দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘‘কোনও জয়ী নির্দলকে দলে নেওয়া হবে না। এটা দল আগেই ঘোষণা করেছে। কোনও পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হলেও নির্দলকে নিয়ে পঞ্চায়েত গড়া হবে না। বিরোধীতে বসব আমরা। অন্ডালের এক নির্দল জয়ী হয়েই তৃণমূলের পতাকা নিতে লম্ফঝম্ফ করছিল, তাঁকে আমরা ওই প্রতীক আঁকড়ে নিয়ে থাকতে বলেছি। দলে তাঁদের কোনও স্থান নেই।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.