সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানাগড় কাণ্ডের পর পেরিয়ে গিয়েছে দেড়দিন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর মৃত সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মাথার উপর চেপে বসেছে ঋণের বোঝা। বাজারে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নাকি দেনা ছিল চট্টোপাধ্যায় পরিবারের। সেই ঋণ শোধ হবে কীভাবে? ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না কেউ।
জানা গিয়েছে, মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের বাবা সুকান্তবাবু পেশায় রেলের ঠিকাদার ছিলেন। তাঁদের চন্দননগরের নাড়ুয়ায় দোতলা বাড়ি ছাড়াও একটি দোকান আছে। কোনও কারণে বাজারে বিপুল টাকা দেনা হয়েছিল সুকান্তবাবুর। এক পর্যায়ে বাড়ি ও দোকানঘর বন্ধক দিয়েছিলেন। এরপর সুকান্তবাবুর ক্যানসার ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে আরও লোন হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে বাজারে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দেনা ছিল চট্টোপাধ্যায় পরিবারের। একদিকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অন্যদিকে নাচের অনুষ্ঠান করে ধীরে ধীরে ঋণ শোধ করছিলেন সুতন্দ্রা। গোটা পরিবার এক কথায় তাঁর উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে পানাগড়ে ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর কাণ্ড। সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে তরুণীর মৃত্যুতে উঠে এসেছে ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব। প্রথমে জানা যায়, ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই নৃত্যশিল্পীর। কিন্তু আসানসোল-দুর্গাপুরের সিপি সুনীল চৌধুরীর দাবি একেবারে ভিন্ন। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ইভটিজিংয়ের ঘটনাই ঘটেনি। বরং তরুণীর গাড়িই নাকি ওই যুবকদের গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি করছিল। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারান নৃত্যশিল্পী তথা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার। দুর্ঘটনায় ভয় পেয়ে নাকি এলাকা ছাড়েন যুবকেরা। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও দেখানো হবে বলে জানান সিপি। তাঁর এই বক্তব্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.