সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পানাগড় কাণ্ডে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব। শুক্রবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয় তাকে। আদালতে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে সে। কেন ওই অভিশপ্ত রাতের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল, সে প্রশ্নে প্রথমবার মুখ খোলে বাবলু। তার দাবি, “ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই পালিয়ে যাই।”
গত রবিবার রাতে পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। বছর সাতাশের ওই তরুণী চন্দননগরের বাসিন্দা। একাধারে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার। আবার নৃত্যশিল্পীও সুতন্দ্রা। অভিযোগ, অভিশপ্ত রাতে পানাগড়ে জাতীয় সড়ক ধরে গাড়ি করে ফিরছিলেন সুতন্দ্রা। সেই সময় কয়েকজন মত্ত যুবক তাঁর গাড়ি ধাওয়া করে কটূক্তি করে। ওই ‘ইভটিজার’দের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুতন্দ্রা প্রাণ হারান বলেই অভিযোগ। যদিও ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব খারিজ করে দেন পুলিশ। দ্রুত গতিতে গাড়ি চলার ফলে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় বাবলু। চারদিনের মাথায় তাকে কাঁকসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের সাদা ‘ক্রেটা’ গাড়ির মালিক বাবলু যাদব। ঘটনার দিন চালকের আসনে ছিল সে। গাড়ির পুরনো যন্ত্রাংশের ব্যবসায়ী ওই যুবক। পানাগড়ের রাইসমিল রোডের বাসিন্দা। স্থানীয় কাওয়ারি বাজারে ব্যবসা রয়েছে তার। এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। এদিকে, এই ঘটনায় যুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সুতন্দ্রার মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.