তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত পাকিস্তানি মহিলাকে নিয়ে ক্রমশ ঘনাচ্ছে রহস্য। শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারেন ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি থেকে ধৃত শায়েস্তা হানিফ। যা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
আদতে পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা শায়েস্তা হানিফ একসময় অসমের শিলচরে থাকতেন। এমনকী বাংলায় তাঁর যাওয়াআসা ছিল। মুম্বইয়ে পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা মহম্মদ হানিফের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয় ক্রমে প্রেমে পরিণত হয়। দুই পরিবারের মতে তাঁদের বিয়েও হয়। বিয়ের পর হানিফের সঙ্গে কর্মসূত্রে সৌদি আরবের জেড্ডায় চলে যান তিনি। মহিলার স্বামী সেখানে স্বর্ণ অলঙ্কার শিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। কলকাতার সোদপুরে তাঁর ছোট বোন থাকেন।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর ওই পাকিস্তানি মহিলা নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরব থেকে বিমানে দিল্লি হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছন। পরে নেপালের কয়েকজনের মাধ্যমে শায়েস্তা জানতে পারেন সেখান থেকে ভারতে প্রবেশ করতে ভিসার প্রয়োজন নেই। সে কথা শোনার পর ছেলেকে নিয়ে নেপালের কাঁকরভিটা দিয়ে পায়ে হেঁটে সীমান্তের মেচি সেতু পেরিয়ে ভারতের পানিট্যাঙ্কিতে প্রবেশের সময় এসএসবি জওয়ানরা তাঁকে আটক করে। পরে খড়িবাড়ি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতদের মধ্য মহিলাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে ও নাবালক ছেলেকে দার্জিলিং জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়। তদন্তের স্বার্থে মহিলাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে, নাবালক ছেলেকে হোমে পাঠানো হয়েছে। দার্জিলিং পুলিশ জেলার সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, “ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এদিন খড়িবাড়ি থানা থেকে আদালতে যাওয়ার সময় ওই পাকিস্তানি মহিলা জানিয়েছে, কলকাতায় বোনের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। ভিসা না মেলায় নেপাল হয়ে এদেশে ঢুকেছিলেন। মহিলার দেওয়া তথ্যের সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.