শ্রীনগরে আতঙ্কে নদিয়ার পর্যটকরা। নিজস্ব চিত্র
সুবীর দাস, কল্যাণী: কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় মারা গিয়েছেন ২০ জন পর্যটক। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। মৃতের তালিকায় বাংলার তিন বাসিন্দা আছেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপত্যকা এলাকার বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে। বহু পর্যটকই দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। নদিয়ার চাকদহ থেকে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছে ২০ জন সদস্যের একটি দল। গতকাল মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার পরে তাঁদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জঙ্গি হামলার সময় তাঁরাও পহেলগাঁওতে ছিলেন বলে খবর। সেনাবাহিনী সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৮ তারিখ চাকদহ থেকে কাশ্মীর গিয়েছেন ২০ জন পর্যটক। চাকদহের সেই দলে রয়েছেন ফুটবলার সুব্রত দে, কামালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক অনিমেষ মিত্র-সহ অন্যান্যরা। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পহেলগাঁও গিয়েছিলেন তাঁরা। সেইসময় উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। গোটা এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। সেনাবাহিনী ঘিরে ফেলে সব এলাকা। মুহূর্তে বদলে যায় চারপাশ। যান চলাচল ওইসব এলাকায় বন্ধ হয়ে যায়। জঙ্গি হামলার ঘটনা শুনে আতঙ্ক ছড়ায় নদিয়ার ওই পর্যটকদের মধ্যেও। পহেলগাঁওতেই আটকে ছিলেন তাঁরা। একইভাবে আতঙ্কিত ওই এলাকার অন্যান্য পর্যটকরা।
একসময় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা সেখানে পৌঁছন। বাহিনীর গাড়িতেই পর্যটকদের উদ্ধার করে গতকাল রাতে শ্রীনগর নিয়ে আসা হয়। সেখানেই একাধিক হোটেলে রাত থেকে দলে ভাগ হয়ে রয়েছেন চাকদহ থেকে যাওয়া পর্যটকরা। তবে আতঙ্ক, দুশ্চিন্তা আরও চেপে বসেছে তাঁদের মধ্যে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার কাশ্মীর থেকে তাঁদের ফেরার কথা। এদিকে আজ বুধবার কাশ্মীরে বনধ চলছে। সেনাবাহিনীর গাড়ি টহল দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। আগামী কাল পরিস্থিতি কী হবে? যোগাযোগ ব্যবস্থা কতটা সচল থাকবে? সেই প্রশ্ন থাকছে। বিমান পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। বিজিসিএসের তরফ থেকে বিমান সংস্থাগুলির কাছে বার্তা দেওয়া হয়েছে, পরিষেবা সচল রাখতে। আরও বেশি করে বিমান চালিয়ে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.