অভিষেক চৌধুরী, কালনা: অতিমারীর দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে নাজেহাল কেন্দ্র-রাজ্য। বিভিন্ন সময় অক্সিজেন, ওষুধের পর্যাপ্ত জোগান না থাকার অভিযোগ উঠছে। এর মাঝেই স্রেফ পকেট মোটা করার তাগিদে অক্সিজেন-ওষুধ নিয়ে কালোবাজিরা করছে অনেকে। তবে পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে সেই সমস্ত চক্রের জাল ফাঁসও হচ্ছে। যেমনটা হল কালনায়।
করোনাকালে ওষুধ-অক্সিজেনের (Oxygen) কালোবাজারি রুখতে তৎপর কালনার পুলিশ। রোজই নিয়ম করে চলছে অভিযান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এমনই এক অভিযানে কালনা শহরের যোগীপাড়ায় সমীর হাজরা নামে এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে দু’টি অক্সিজেন ভরতি সিলিন্ডার উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশকে ওই সিলিন্ডার দু’টির কোনও নথি দেখাতে পারেনি সমীর। শেষে পুলিশের জেরায় সমীর কবুল করে, করোনার আতঙ্কের মাঝেই অনেকেই অক্সিজেন মজুত করছে। তাই সে চড়া দরে বিক্রি করবে বলে অবৈধভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার জোড়া জোগার করেছে।
তাকে জেরা করে পুলিশ আরও জানতে পারে কালনা শহরের লক্ষ্মণপাড়ার বাসিন্দা কমল ঘোষ ওরফে সূর্য ও মধুবন এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় রায় ওরফে বরুণ অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করছে। উদ্দেশ্য, প্রয়োজনে চড়া দামে ওই সিলিন্ডার বিক্রির কারবার ফেঁদেছে তারা। এরপরই পুলিশ ওই দুজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি অক্সিজেন ভরতি সিলিন্ডার উদ্ধার করে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদেরকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করবে পুলিশ। তাদেরকে জেরা করে এর পিছনে কোনও রাজ্যস্তরের চক্র রয়েছে কিনা, তার খোঁজখবর করবে পুলিশ।
এই অভিযান প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানান, “আমাদের কাছে খবর ছিল। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭টি সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। তবে এই চক্রের পিছনে কারা আছে, কীভাবে কালোবাজারি হচ্ছে তা জানার চেষ্টা চলছে। কালোবাজারি রুখতে এ ধরণের অভিযান চলবেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.