শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বাংলার সবচাইতে বড় গণেশ! এই বিজ্ঞাপনই চমকে দিয়েছে শহরবাসীকে। আর তাতেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জলপাইগুড়ির বামনপাড়ার পুজো উদ্যোক্তারা। কারণ ৬৬ বছরের পুজোর আয়োজনে নজর কাড়তে গিয়ে দেশপ্রিয় পার্কের পুনরাবৃত্তি হোক, চাইছেন না কেউ। ভিড় সামলাতে মণ্ডপের চার দিকেই তৈরি করা হয়েছে প্রবেশ এবং প্রস্থান পথ। থাকছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও। প্রতিটি মুহূর্তর উপর নজর রাখতে থাকছে সিসিটিভি।
[‘সবথেকে বড়’র লড়াই উত্তরবঙ্গে, কোচবিহারের বাজি ৮০ ফুটের মূর্তি]
৫১ ফুট লম্বা গণেশ তৈরি হচ্ছে এখানে। এর নেপথ্যে আছেন শিল্পী জীবন শর্মা। এই শিল্পী হায়দরাবাদের এক ফিল্ম সিটিতে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন। তিনি জানান, কর্মজীবনের শেষ দশটা বছর তেলুগু ছবির জন্য ঘর, বাড়ি, মন্দির, মসজিদ তৈরি করেই কাটিয়ে এসেছেন তিনি। এখন অখণ্ড অবসর। আর এই অবসরের ফাঁকে গণেশ দিয়েই শিল্পী জীবনের শ্রী ফেরাতে চান জীবনবাবু। কেন সবথেকে উঁচু গণেশ তৈরির পরিকল্পনা? শিল্পীর জবাব, যে কোনও পুজোর শুরুতেই গণেশের নাম আসে। সেই কারণেই দুর্গামণ্ডপে ঢোকার মুখে বিশালাকৃতির গণেশ তৈরির ভাবনা।
[২৫ মাথা, ৫০ হাতের চামুণ্ডা সিউড়ির মহাপুজোর সেরা আকর্ষণ]
আর এই ভাবনাকেই লুফে নেন বামনপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুশোভন সরকার জানান, এবার পুজোয় বাজেট ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। গণেশ তৈরি হচ্ছে প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে। মণ্ডপের ঠিক বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকবেন সিদ্ধিদাতা। তাঁর পায়ের নিচ দিয়ে আশীর্বাদ নিতে নিতে ভেতরে প্রবেশ করবেন দর্শনার্থীরা। ইতিমধ্যে বাংলার ‘বড়’ গণেশ তৈরি দেখতে উৎসাহী মানুষজন ভিড় করছেন বামনপাড়ায়। বৃষ্টির জন্য কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও ঠিক সময়েই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী শিল্পী। বাইরের মতো চমক থাকছে ভিতরেও। মণ্ডপের মধ্যে দশটি রূপে থাকবেন দশভুজা। তাঁর দশ হাতের দশ অস্ত্রপ্রাপ্তির মূহূর্তগুলি ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপের চারপাশে। দর্শনার্থীদের মন ভরাতে সিদ্ধিদাতা গণেশের কুড়িটি রূপও তুলে ধরা হবে। তৃতীয়াতেই ‘সবথেকে বড় গণেশের’ তৃপ্তি কর্মকর্তাদের চোখে-মুখে। তারা চাইছেন দর্শনার্থীদের চাপ সামলে ভালয় ভালয় সব মিটে গেলেই মঙ্গল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.