Advertisement
Advertisement

Breaking News

নৌকোডুবি

রূপনারায়ণে ডুবল যাত্রী বোঝাই নৌকো, শুরু উদ্ধারকাজ

অনুমান, ক্ষমতার বেশি যাত্রী তোলায় ঘটেছে বিপত্তি।

Over loaded boat capsizes in Rupnarayan river, many feared drowned
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 30, 2019 11:36 am
  • Updated:September 30, 2019 2:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোয়ারের জলের তোড়ে রূপনারায়ণে ডুবে গেল যাত্রী বোঝাই নৌকো। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ওই নৌকোয় ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। ইতিমধ্যেই ১৫-১৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।

[আরও পড়ুন: বেনজির উদ্যোগ, পুজোয় পথশিশুদের নতুন জামা উপহার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার]

সোমবার সকালে মহিষাদলে রূপনারায়ণ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, নৌকোটি রূপনারায়ণের মায়াচর দ্বীপের ফেরিঘাট থেকে অমৃতবেড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। মাঝনদীতে জোয়ার থাকায় ঢেউয়ের মুখে পড়ে উলটে যায় নৌকাটি। ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান অনেকে। কোনওক্রমে সাঁতরে বিভিন্ন দিক থেকে পাড়ে ওঠেন কেউ কেউ। খবর পেয়েই উদ্ধার কাজে হাত লাগান গ্রামবাসীরা। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহিষাদল ও তমলুক থানার পুলিশ। স্পিডবোট নিয়ে যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয় নদীবক্ষে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ২৮ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা হওড়ার কমলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তবে এখনও নিখোঁজ বহু। তাঁদের মধ্যে রয়েছে মহিলা ও শিশুও। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃতের কোনও খবর মেলেনি।

Advertisement
noukodubi
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীরা

স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, ওই নৌকোর কোনও যাত্রীরই লাইফ জ্যাকেট ছিল না। সেই সঙ্গে নৌকায় নির্ধারিত সংখ্যার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ২০১৫ সালে শান্তিপুর-কাটোয়া জলপথে দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রশাসনের তরফে সব নৌকোয় লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তারপরও কেন লাইফ জ্যাকেট ছিল না এই নৌকোয়? ঝুঁকি জেনেও কেনই বা অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল নৌকোয়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আদতে ঠিক কত যাত্রী ছিলেন ওই নৌকোয়। তা এখনও বলতে পারছেন না পুলিশ আধিকারিকরাও।

nouko

[আরও পড়ুন: পুলওয়ামা শহিদদের প্রথম স্মৃতিস্মারক, দুর্গাপুরে উদ্বোধন তৃণমূল বিধায়কের]

উল্লেখ্য, ২০০৯সালেও রূপনারায়ণে নৌকোডুবির ঘটনা ঘটে। যে সময় চড়ুইভাতিতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন পর্যটকেরা। মৃত্যু হয় প্রায় ১৯জনের। যাত্রী পরিবহণ কমিটির সম্পাদক নারায়ন নায়েক বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে উদ্ধার কার্যের পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

ছবি: সৈকত মাইতি

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement