Advertisement
Advertisement
তৃণমূল

আলো দেখাচ্ছেন আলোরানি, তাঁর উদ্যোগে বারাসতে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ১৩০০ কর্মী

বড়সড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে। 

Over 1000 BJP workers join TMC at Barasat meeting

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 20, 2019 9:15 am
  • Updated:June 13, 2022 4:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  উলটো হাওয়া উত্তর ২৪ পরগনায়৷ বড়সড় ভাঙন বিজেপিতে। বুধবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ১ হাজার ৩০০ কর্মী।কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি আলোরানি সরকারের নেতৃত্বে ওই কর্মীরা ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন বলেই খবর।

[আরও পড়ুন: কাটমানি ফেরত চাওয়ায় গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি! জখম মহিলা-সহ ৫]

Advertisement

বুধবার বারাসতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠক হয়। ২১ শে জুলাই দলের শহিদ দিবস উপলক্ষে কর্মী সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল কাউন্সিলর সুজিত দাস, কমল অধিকারী, রিঙ্কু সিংহরায়, সুভাষ চক্রবর্তী, উৎপল দাশগুপ্ত, কেয়া ঘোষ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কাঁচরাপাড়ার কার্যকরী সভাপতি আলোরানি সরকারও। তিনি যে একজন দক্ষ কর্মী ও সংগঠক, তারই প্রমাণ দেন তিনি। তাঁর উদ্যোগেই গারুলিয়া থেক ৫৪৮ জন ও বারাসত থেকে ৭৭৮ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। পোড়খাওয়া নেত্রী তথা তৃণমূল স্তরে যোগাযোগের জন্য আলোরানির খ্যাতি রয়েছে দলে। গত লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংকে দাঁড় করিয়ে বারাকপুর অঞ্চল ছিনিযে নিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু যোগ সদ্য নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে ওই অঞ্চলে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এহেন পরিস্থিতিতে আলোরানির নেতৃত্ব আশা জাগিয়েছে দলের অন্দরে। 

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন দখল করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এই উত্থানে রীতিমতো মোড় ঘুরে যায় রাজ্য রাজনীতির। শুরু হয় দলবদলের হিড়িক। মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু-সহ বিজেপিতে যোগ দেন বেশ কয়েকজন। বিশ্লেষকদের একাংশ আগাম নির্বাচনের কথাও বলে ফেলেন। তবে গেল গেল রব উঠলেও, আঘাত অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে শাসক শিবির। মোহভঙ্গ হয়ে অনেকেই ফের আশ্রয় খুঁজছেন ঘাসফুলেই। তবে যাই হোক না কেন, জরাগ্রস্ত সিপিএম ও ঘুনেধরা কংগ্রেসকে হিসেবে রাখলেও, ২০২১-এর বিধানসভাই লড়াই হবে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে, তা স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: রোগীমৃত্যুতে ফের সরকারি হাসপাতালে হামলা, নিগ্রহ সুপারকেও]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement