সৌরভ মাজি, বর্ধমান: খাবারের মান-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে স্কুলের হস্টেল সুপারের সঙ্গে ছাত্রদের ঝামেলা চলছিল। সমস্যা সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে। সমাধানসূত্র মেলেনি। কিন্তু তার জেরে যে এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। রাতের অন্ধকারে বহিরাগতদের ডেকে এনে হস্টেলের আবাসিকদের মারধর খাওয়ানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ হস্টেল সুপার। এ নিয়ে শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) আল আমিন মিশন অ্যাকাডেমিতে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকদিন আগেই। মেমারির দুর্গাডাঙার বেসরকারি স্কুল আল আমিন মিশন অ্যাকাডেমির হস্টেলে (Hostel) খাবারের মান ভাল নয় বলে অভিযোগ তুলে হস্টেল সুপার হাসিবুল আলমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা। এছাড়া আরও বেশ কিছু অভিযোগও ছিল তাদের। সবমিলিয়ে একাধিক অসুবিধা ছিল ছাত্রদের। বৃহস্পতিবার সেসব সমস্যা মেটাতে সুপার, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্ররা আলোচনায় বসে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আলোচনা চলাকালীন ছাত্ররা ভাঙচুর করেছে। ফলে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। যার জেরে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গেল বৃহস্পতিবার রাতে।
ছাত্রদের অভিযোগ, আচমকাই স্কুলের গেট ভেঙে ঢোকে কয়েকজন বহিরাগত। এরপর ছাত্রদের বেধড়ক মারধর (Beating) করতে শুরু করে। জখম হন ১৫ থেকে ২০ জন পড়ুয়া। তাদের রাতেই নিয়ে যাওয়া হয় মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে এই ঘটনায় তাদের মনের উপর চাপ পড়ছে। শুক্রবার সকালে অভিযোগ পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ হস্টেল সুপার হাসিবুল আলম এবং বহিরাগত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে মুখে কুলুপ স্কুল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, স্কুলের হস্টেলে বহিরাগতদের কেন ঢোকানো হল? ছাত্রদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.