সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাঁর দলের একের পর এক সাংসদ। আরও কোনও কোনও নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি হতে পারে এ আশঙ্কা তাড়া করে ফিরছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র সুর নরম করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন, মোদির দ্বারা দেশ চালানো সম্ভব নয়।
নোট বাতিলের বিরোধিতা করছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জাতীয় রাজনীতিতে দলের মুখ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়েছেন। রাজধানীতে মোদির বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। আর রাজ্যে সুর চড়ালেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন টাউন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেশ ক্রমশ ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের দিকে এগোচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া হচ্ছে। নোট বাতিলে দেশের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হওয়া থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। গতকালই নোট বাতিলের ফলে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার সাময়িক থমকাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। টুইট করে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সে কথার রেশ টেনে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি দেশকে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে অনুরোধ করেছেন।
এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। জানান, কেন্দ্রীয় শাসক দল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে। তাঁর তাই মত, দেশের স্বার্থে এক বৃহত্তর গণতান্ত্রিক পরিসর তৈরি করা হোক। যেখানে কোনও একটি শাসক দল না থেকে সর্বদলীয় একটি জাতীয় সরকার থাকবে। অর্থাৎ প্রশাসন ও রাজনীতির স্বতন্ত্রীকরণের পক্ষেই এদিন সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আদবানি বা রাজনাথ সিং থাকলেও তাঁর কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মোদি যে দেশ চালানোর জন্য অযোগ্য এ কথা জোর দিয়েই জানিয়েছেন তিনি। সন্দেহ নেই, তাঁর এই ভাবনা গণতান্ত্রিক কাঠামোয় অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি দিক। কিন্তু তা কতদূর বাস্তবায়িত হবে সে সন্দেহ অবশ্য থেকেই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.