নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অবাক হওয়ার মতো ঘটনা পৃথিবীতে অনেক ঘটে। কিন্তু এমনও হয়! মানুষের পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় গয়না! অবিশ্বাস্য হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের মালগ্রামের অনন্তপুর গ্রামে। মহিলার পেটের ভিতর থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় দু’কেজি গয়না ও কয়েন। ওই মহিলার নাম রুনি খাতুন। বয়স ২৬ বছর। তবে অস্ত্রোপচারের পর আপাতত সুস্থই আছেন রুমি।
[ আরও পড়ুন: ভোটের ডিউটিতে অনুপস্থিত, পুরসভার মৃত কর্মীকে শোকজ কমিশনের! ]
কয়েক মাস ধরেই পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা হত রুনির। বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের লোকেরা তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পেটে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন তিনি। এক্স-রে করার পরই ধরা পড়ে এক অবাস্তব চিত্র। দেখা যায়, রুনির পেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গয়না ও কয়েন। অবস্থা দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকের। যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন তিনি। সেই মতো রুনিকে ভরতি করা হয় রামপুরহাট হাসপাতালে। বুধবার সেই প্রতীক্ষিত অস্ত্রোপচার হয়।
আশ্চর্যজনকভাবে রোগীর পেট থেকে বের হয় প্রায় ১ কিলো ৬৮০ গ্রামের ধাতব সামগ্রী। তার মধ্যে যেমন গয়না রয়েছে, তেমনই রয়েছে কয়েন, হাতঘড়ি। গয়নাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নকল। কিন্তু কিছু যে সোনার গয়না ছিল না তাও নয়। এছাড়া পাওয়া গিয়েছে প্রচুর কয়েন। মোট ৫৭টি কয়েন পাওয়া গিয়েছে তাঁর পেট থেকে। তবে গয়না, কয়েন, হাতঘড়ি ও অন্যান্য সামগ্রীর অনুমানিক মূল্য এখনও জানা যায়নি।
[ আরও পড়ুন: মেয়ে হওয়ায় জায়গা মেলেনি বাবা-মায়ের সংসারে, হাসপাতালেই অন্নপ্রাশন খুদের ]
রুনির পরিবার সূত্রে খবর, মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না রুনি। বছর কয়েক ধরেই তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বোধহয় খিদে পেলেই ধাতব জিনিস মুখে পুরতেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর পেট থেকে ধাতব জিনিস উদ্ধার হয়। এছাড়া রুনির বাড়ির লোক এও জানিয়েছে, কয়েক বছর থেকে মাঝে মধ্যেই উধাও হয়ে যেত গয়না ও কয়েন। বিশেষ করে সোনার গয়না গায়েব হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই উদভ্রান্ত হয়ে পড়তেন তাঁরা। বুঝে উঠতে পারতেন না, বাড়িতে চুরি-ডাকাতি হয়নি। কিন্তু এভাবে জিনিসপত্র উধাও হয় কী করে? রুনির পেটে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসে। তবে এখন সেসব নিয়ে ভাবতে চান না তাঁরা। বাড়ির মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক, সেটাই কাম্য।
ছবি- সুশান্ত পাল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.