Advertisement
Advertisement
বিদ্যুৎ বিল

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হচ্ছে, দাবি শোভনদেবের

'একাধিক ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের তুলনায় এরাজ্যে বিল কম', দাবি বিদ্যুৎমন্ত্রীর।

Opposition spreading propaganda over electricity bill, claims minister

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 16, 2019 9:00 pm
  • Updated:September 16, 2019 9:00 pm  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: অন্য রাজ্যের তুলনায় বিদ্যুতের বিল এ রাজ্যে বেশি, সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রচারকে বিভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজনীতির কারবারীরা এর সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর। “একইসঙ্গে একে রোখার জন্য আমরাও থাকব”, সোমবার নাকাশীপাড়ার মুড়াগাছা থেকে চ্যালেঞ্জ নিলেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা।

[আরও পড়ুন: ক্যানসার বিনাশে কঠিন লড়াই, আমেরিকায় সম্মানিত বসিরহাটের ‘দুর্গতিনাশিনী’]

বিদ্যুৎ দপ্তরের অন্তর্গত নদিয়ার মুড়াগাছা ধর্মদা কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করতে গিয়ে শোভনদেব বলেন, “বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য রাজনীতির লোক থাকবে না, তাই হয়! ওদের রোজ মিথ্যা কথা বলতে হবে।” বিভ্রান্তিকর প্রচারের জন্য বিরোধীদের তোপ দাগলেও গ্রাহকদের উপরই ভরসা রেখেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে পয়সা দেয়, এর বিচার সেই করবে। সে বুঝবে।” তবে, এ নিয়ে অপপ্রচারকারীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। তা স্পষ্ট করে দিয়ে বিদ্যুতমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, “আমরা থাকব অপপ্রচার রুখে দেওয়ার জন্য। তিন মাসের বিলটা যেভাবে ভাগ করা হয়, তাতে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ভরতুকি পাওয়া যায়। কোন একটা ক্ষেত্রও সাবসিডির বাইরে যায় না। গরীব মানুষের জন্য তিনশো ইউনিট ভরতুকি আছে।”

Advertisement

তিনি দাবি করেন, “কৃষিক্ষেত্রেও প্রচুর সাবসিডি দেওয়া হয়। এগ্রিকালচারে ভরতুকি দু’টাকা বিয়াল্লিশ পয়সা করে। ভারতবর্ষে কোন রাজ্যে কেউ যদি দেখাতে পারে এগ্রিকালচারে এই বিল, তাহলে মেনে নেব।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মেট্রো সিটিতে কলকাতায় বিদ্যুৎ বিল খুব কম। মুম্বইয়ে ইউনিট পিছু ১০.৩০ টাকা, দিল্লিতে ৮.৩২টাকা, কলকাতায় ৭.৩১ টাকা। আমাদের গড় বিল ৭.১২ টাকা।”

[আরও পড়ুন: গেরুয়া শিবিরে ভাঙন, গারুলিয়া পুরসভায় অনাস্থা ডাকল তৃণমূল]

শোভনবাবু এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত কিছু নখদর্পণে থাকে। এখানে কেউ লালবাতির জন্য মন্ত্রী থাকলে তাঁকে চলে যেতে হবে। আমরা সতর্ক থাকি। সারা ভারতবর্ষে জিডিপি পাঁচ শতাংশ। আর পশ্চিমবঙ্গে বারো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মুখ্যমন্ত্রী থাকেন তাহলে বেশিদিন বাকি নেই, সমস্ত বিষয়ে প্রথম হবে পশ্চিমবঙ্গ।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, বিধায়ক কল্লোল খাঁ, হাসানুজ্জামান, জেলাশাসক পীযূষ গোয়েল-সহ একাধিক নেতৃত্ববর্গ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement