সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দুই পর বাড়ি ফিরলেন মথুরাপুরের ‘অপহৃত’ চার বিরোধী প্রার্থী। আর বাড়ি ফিরেই তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন। তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে অভিযোগ, জোর করে তাঁদের দলবদল করতে চাপ দেওয়া হয়েছে। জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে মুচলেকা লেখানোর জন্যও চাপ দেওয়া হয়। চার প্রার্থীর সকলেই এমন অভিযোগ করেন। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার পঞ্চসায়র এলাকা থেকে রায়দিঘির কৃষ্ণচন্দ্রপুরের চার বিরোধী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। যদিও কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)তরফে শনিবার জানানো হয়, অপহরণের ঘটনা ঘটেনি। এরপর রবিবার বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। আর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা জানালেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। ‘অপহৃত’ চারজনের মধ্যে একজন বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। আর বাকি তিনজন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী সুশান্ত মণ্ডলের অভিযোগ, একটি অন্ধকার জায়গায় নিয়ে তাঁদের বারবার তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সাদা কাগজে সই করার কথা বলা হয়।
বিজেপির আরেক প্রার্থী পূজা ছাটুইয়ের অভিযোগ, তাঁদের থেকে মুচলেকা ও বয়ান রেকর্ড করে নেওয়া হয়। এমনকী প্রাণহানির হুমকির অভিযোগ ওঠে। পূজা বলেন, ”আমরা তাঁদের বলেছি, আমাদের জীবন নিও না, আমরা দলে যোগ দিতে পারব না।” জানান, একাধিক গেস্ট হাউসে স্থানান্তরিত করে রাখা হয়েছিল তাঁদের। রবিবার সকালে তাঁদের সকলকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান অপহৃত বিজেপির তিন প্রার্থী ও বাম সমর্থিত সিপিএমের এক প্রার্থী।
মথুরাপুর ১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫। তৃণমূল জয়লাভ করেছে ৪টি আসনে, বিজেপি জয়লাভ করেছে ৬টিতে, সিপিএম জয়লাভ করেছে ৩ টি আসনে এবং নির্দল প্রার্থীরা দুটি আসনে জিতেছে। বোর্ড গঠন করতে হলে মোট আটজন সদস্যের প্রয়োজন। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র চারজন সদস্য। তৃণমূল বোর্ড গঠন করার লক্ষ্যে বিরোধীদের চারজন সদস্যকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ সিপিএমের। অন্যদিকে, সিপিএমের তোলা অভিযোগ, অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, ”যেখানে সিপিএমের মাত্র তিনজন সদস্য তাঁরা কীভাবে? এই অভিযোগ তুলতে পারে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.