Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dumdum

সিপিএমেও নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব! তৃণমূলে যোগ কাউন্সিলরের, বিরোধীশূন্য উত্তর দমদম পুরসভা

'সিনিয়রদের ছড়ি ঘোরানো'র মানসিকতাকে দুষলেন দলত্যাগী কাউন্সিলর, তরুণ কমরেড সন্ধ্যারানি মণ্ডল।

Only CPM councilor of North Dumdum municipality joins TMC accusing senior-junior clash into the party
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 23, 2025 4:58 pm
  • Updated:March 23, 2025 5:18 pm  

বিধান নস্কর, দমদম: সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব। রাজনীতির আঙিনায় নবীনদের লড়াইয়ে নামিয়ে দিলেও কাজের ক্ষেত্রে ছড়ি ঘোরানো হয়। দলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে উত্তর দমদম পুরসভার একমাত্র সিপিএম কাউন্সিলর সন্ধ্যারানি মণ্ডল যোগ দিলেন তৃণমূলে। যার জেরে বিরোধীশূন্য হয়ে গেল উত্তর দমদম পুরসভা। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে নিঃসন্দেহে এ এক বড় বদল। সন্ধ্যারানির অভিযোগ, তাঁকে সিপিএমের তরফে পুরভোটে দাঁড় করিয়ে জনপ্রতিনিধি করলেও কাজ করার ক্ষেত্রে দলের তরফেই নানা বাধা আসছিল। তাই দল ছেড়ে তিনি শাসক শিবিরে যোগ দিলেন। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে জনতার কাজ করতে পারবেন বলে আশাবাদী সন্ধ্যারানি।

২০২২ সালের পুরভোটে ৩৪ ওয়ার্ড বিশিষ্ট উত্তর দমদম পুরসভার ৩৩ টি ওয়ার্ডই তৃণমূলের দখলে যায়। একমাত্র ১৫ নং ওয়ার্ড জিতে নেয় সিপিএম। জেতেন তরুণ কমরেড সন্ধ্যারানি মণ্ডল। দীর্ঘ তিন বছর সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্ধ্যারানি মণ্ডল সিপিএমে থেকেই কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে দলের ‘সিনিয়রদের ছড়ি ঘোরানো’র মানসিকতা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ তাঁর। তাতে বিরক্ত হয়ে সন্ধ্যারানি রবিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। উত্তর দমদমের পুরপ্রধান ও দমদম উত্তরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাত থেকে পতাকা তুলে নিলেন তিনি।

Advertisement
দমদম উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

দলত্যাগী সিপিএম কাউন্সিলর জানান, দলে থেকে তাঁর কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা সকলের জন্য কাজ করার জন্যই তাঁর তৃণমূল যোগদান। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ”উনি আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর অনুমতি সাপেক্ষ সিপিএমের কাউন্সিলরকে আমাদের দলে যোগদান করানো হল। এখন উত্তর দমদম পুরসভা বিরোধীশূন্য হয়ে গেল।” আসলে এ ধরনের দলবদল নিয়ে বিরোধীরা প্রায়শয়ই শাসকের চাপ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। তবে যোগদানকারীদের বক্তব্যেই তা খারিজ হয়ে যায়। বাস্তব এই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতেই দলবদলের সিদ্ধান্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement