Advertisement
Advertisement
সুন্দরবন

অনুমতি মিললেও পর্যটকের দেখা নেই সুন্দরবনে, মুখ ম্লান পর্যটন ব্যবসায়ীদের

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা।

Only 12 tourists visited sundarban on monday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 15, 2020 4:00 pm
  • Updated:June 15, 2020 4:06 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দীর্ঘ লকডাউনের পর অবশেষে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি মিললেও কার্যত ফাঁকা সুন্দরবন (Sundarbans)। প্রথম দিনে অর্থাৎ সোমবার সুন্দরবনের পর্যটনস্থানগুলিতে নজরে পড়েছে হাতে গোনা কয়েকজন। ফলে খানিকটা নিরাশ হোটেল মালিক ও বনদপ্তর।

আনলক ওয়ানে ১৫ জুন থেকে সুন্দরবন সাফারি শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য। সেইমতো সোমবার থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ছাড়পত্র দেওয়া হলেও সুধন্যখালি, ঝড়খালি, পাখিরালায় ও বনি ক্যাম্পের কোথাও দেখা যায়নি একজনও পর্যটককেও। সজনেখালিতে ছিলেন হাতেগোনা দু-চারজন। এদিনের পর্যটক সংখ্যা দেখার পর ব্যবসায়ীরা বুঝে উঠতে পারছেন না যে কবে থেকে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও কড়াভাবে মানতে হচ্ছে সমস্ত নিয়ম। ১০ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সের কোনও পর্যটককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি নির্দেশ মেনে প্রতিটি টুরিস্ট লঞ্চ এবং হোটেল স্যানিটাইজেশন করতে হচ্ছে নতুন যাত্রী ওঠার আগে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি পর্যটক বহনকারী ভুটভুটি ও লঞ্চকে যাত্রী তোলার ক্ষমতা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বনদপ্তরের তরফে। যার ফলে কার্যত অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হবে তাঁদেরকে।

sundarban-2

[আরও পড়ুন: ‘সুশান্তের বায়না মেটাতে রাত ১১টায় বন্ধুর জিম খুলিয়েছিলাম’, পর্দার ‘মাহি’র বিদায়ে শোকাতুর খড়গপুরবাসী]

সুন্দরবনের জঙ্গলে বেড়াতে যাওয়ার সবথেকে ভাল সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। অন্য সময় ভিড় সেভাবে চোখে পড়ে না। প্রাক বর্ষায়ও তেমন পর্যটকদের আনাগোনা হয় না সুন্দরবনে। সেই সঙ্গে চলতি বছরে দোসর হয়েছে করোনা ভাইরাসের (CoronaVirus) আতঙ্ক। সেই কারণেই এখন পর্যটকশূন্য সুন্দরবন, এমনটাই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী জয় নারায়ন মণ্ডল বলেন, “আমফানের তাণ্ডবে ক্ষতি হয়েছে বহু লঞ্চ ও ভুটভুটির। যা এখনও মেরামতি করে উঠতে পারেনি বহু সংস্থা। শুধু তাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন হোটেলও। আর প্রথম দিনে পর্যটকের আনাগোনা না হওয়ায় মানুষ যে আতঙ্কিত তা স্পষ্ট।” এ বিষয়ে ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর ডক্টর সুধীর কুমার দাস বলেন, এদিন সুন্দরবনের সজনেখালিতে ১২ জন পর্যটক এসেছিলেন। আগামী দিনে পর্যটক আরও ও বাড়বে এমনটা আশা করা যায়।”

[আরও পড়ুন: লকডাউনে পেটের জ্বালা মেটাতেই ডাকাতি! উত্তরপাড়া ব্যাংক লুঠে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement