সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: চিটফান্ড নিয়ে যখন ফের শোরগোল পড়েছে রাজ্যে, তখন উত্তরবঙ্গে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি অনলাইন লটারির কারবার। উদ্বিগ্ন অর্থ দপ্তর। উত্তরবঙ্গে অনলাইন লটারি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়েছেন অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব। ক্ষুদ্ধ লটারি ব্যবসায়ীরাও।
[দিঘার লজে আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের, বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন তরুণী]
এ রাজ্যে অনলাইন লটারির খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। পালাবদলের পর, ২০১৩ সালে অনলাইন লটারিকে নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু, উত্তরবঙ্গের একটি বড় অংশে ফের জাঁকিয়ে বসেছে ‘দু’টাকার অনলাইন লটারি’। জানা গিয়েছে, শেয়ার মার্কেটের মতোই একাধিক অনলাইন লটারিতে একাধিক ইউনিট কেনা যায়। অনলাইনে খেলার শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল পৌঁছে যায় সার্ভারে। কোচবিহার, কামাখ্যাগুড়ি, কালচিনি, হ্যামিল্টনগঞ্জ, কার্শিয়াং, হাসিমারা ও মিরিকে রমরমিয়ে চলছে অনলাইন লটারি। কোচবিহারের নতুন বাজারে প্রকাশ্যে রীতিমতো টেবিল পেতে অনলাইন লটারি চলে। কামাখ্যাগুড়ি, হ্যামিল্টনগঞ্জ, কার্শিয়াং, হাসিমারায় আবার গাড়িতেই খোলা হয়েছে কাউন্টার। কিন্তু চোখের সামনে বেআইনি কারবার চললেও, পুলিশ কোনও পদক্ষপ করছে না বলে অভিযোগ। উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, “আমরা গোটা বিষয়টি নিয়ে নজর রাখছি। তবে সরকারিভাবে কোনও নির্দেশিকা এখনও আমার কাছে এসে পৌঁছয়নি।”
এদিকে উত্তরবঙ্গে অনলাইন লটারির রমরমায় বিপাকে পড়েছেন লটারি ব্যবসায়ীরা। উত্তরবঙ্গ লটারি ব্যবসায়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রফুল্ল পান্ডের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশে গোটা দেশে অনলাইন লটারির ব্যবসা নিষিদ্ধ। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাবের সুযোগে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেছে বেআইনি ব্যবসার কারবারিরা। এমনকী, নামী কোম্পানির ভুয়ো কাগজের লটারিও বাজারে চলে এসেছে। সেই লটারি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে তাঁদের ব্যবসার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
[ সততার নজির, টাকা ভরতি মানিব্যাগ থানায় ফেরত দিল দুই ছাত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.