প্রতীকী ছবি।
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: চলছে রমজান মাস। সামনে খুশির ইদ। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। এই আবহে ভারত (India) থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ গেল পড়শি রাষ্ট্রে। গতকাল বিকেলে মালবাহী ট্রেনের ৪২টি ওয়াগনে পেঁয়াজ পাঠানো হয় বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দরে। জানা গিয়েছে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এই পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
টিসিবি ভারত থেকে মোট ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। প্রথম দফায় ১৬৫০ টন পেঁয়াজ ভারতের গেদে সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে গেছে। প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৪৩৫ ডলার। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বণ্টনে বাংলাদেশের তরফে নিযুক্ত দর্শনা বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট পুর মেয়র আতিয়ার রহমান জানান, টিসিবি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। প্রথম চালানে এখানে এসেছে ১৬৫০ টন। তার মধ্যে ১২০০ টন ঢাকা শহরে ও ৪০০ টন যাবে চট্টগ্রামে । এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আসলে সারা দেশে তা দেওয়া হবে।”
দর্শনা আর্ন্তজাতিক রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক বলেন, “ভারত থেকে ৪২টি ওয়াগনে পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর ইয়ার্ডে এসেছে। এ পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে যাবে। কাস্টমস ইনভেন্টরি ও শুল্কায়ন, কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র এবং রেলভাড়া পরিশোধের পর, রাতেই আমদানি করা পেঁয়াজ সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে চলে যাবে।”
দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সুশান্ত চৌধুরীর কথায়, “প্রাথমিক ইনভেনটরিতে আমদানি করা এই পেঁয়াজ গুনগত মান সম্পন্ন বলে মনে হয়েছে। যথাযথ শুল্কায়নের পর খুব দ্রুত পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এতে পেঁয়াজের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল হবে।”
উল্লেখ্য,গত বছর ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। তার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। ২০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয় পেঁয়াজ। ইদের মুখে পেঁয়াজ যাওয়ায় খুশির হাওয়া ওপার বাংলায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.