সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পিঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি করেছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াও তোলপাড়। পিঁয়াজের দামে লাগাম টানবে কে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। রাজ্য সরকার টাস্ক ফোর্স গড়েছে। তাতেও কমেনি দাম। এখন পিঁয়াজের দামে রাশ টানতে অভিনব উপায় বাতলাচ্ছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন পিঁয়াজ বয়কটের ডাক দিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার প্রচার। কেউ কেউ লিখছেন, টানা ৭ দিন সকলে মিলে একসঙ্গে পিঁয়াজ কেনা বন্ধ রাখলে বাপ বাপ করে দাম কমবে। তখন নাকি বিক্রেতারা ২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে ক্রেতাদারে কাছে ছুটে আসবে।
কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে যতই প্রশ্ন থাক, পিঁয়াজের অগ্নিমূল্য যে সাধারণ মানুষকে এইভাবে বিদ্রোহী করে তুলছে, তা বলাই বাহুল্য। গত প্রায় আড়াই মাস ধরে পিঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া। পাইকারি বাজারের দরের সঙ্গে খুচরো বাজারে পিঁয়াজের দামেরও বিস্তর ফারাক। অভিযোগ, এক শ্রেণীর খুচরো বিক্রেতা কৃত্রিমভাবে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে রেখেছে। যদিও খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারের সঙ্গেই ওঠানামা করে খুচরো বাজারের দাম।
কিন্তু গৃহস্থের পকেটে টান ধরিয়ে দিচ্ছে পিঁয়াজের দাম। অনেকেই পরিমাণে কম পিঁয়াজ কিনতে শুরু করেছে। কিন্তু তাতেও দাম কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। শেষপর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি উঠেছে পিঁয়াজ বয়কটের।
কেউ লিখেছেন, সাতদিন পিঁয়াজ কেনা বন্ধ রাখলে রান্নার সমস্যা হবে না। পিঁয়াজ ছাড়া খাবার খাওয়া সম্ভব। তাহলে বয়কট করলে কোনও ক্ষতি নেই। নেটিজেনদের দাবি, ৭ দিন পিঁয়াজ কেনা বন্ধ রাখলে বিক্রেতার ঘরে বস্তা বস্তা পিঁয়াজে পচন শুরু হবে। তখন বাধ্য হবে দাম কমিয়ে তা বিক্রি করতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনও দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের কোনও এক শহরেও নাকি এইভাবে বয়কটের রাস্তায় গিয়ে পিঁয়াজের দামে রাশ টানতে পেরেছেন সেই শহরের বাসিন্দারা। যদিও বাংলাদেশজুড়ে এখনও পিঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.