Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nadia

দুদেশেই ভোটার কার্ড! মেডিক্যাল ভিসায় বগুলায় এসে সম্পত্তি কেনাবেচা বাংলাদেশি যুবকের

ঘটনা সামনে আসতেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

one person has dual voter card in India-Bangladesh Sensation in nadia Bagula

প্রতীকী ছবি

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:January 15, 2025 7:54 pm
  • Updated:January 15, 2025 8:55 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ভারত ও বাংলাদেশে দুদেশেই রয়েছে ভোটার কার্ড! এদেশে বানিয়েছেন আধার, প্যানকার্ডও। মাঝেমধ্যেই অনায়াসে যাতায়াত করেন ভারতে। দুদেশেই রয়েছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। এদেশেও সম্পত্তি কেনাবেচা করছেন। জ্যাঠাকে বাবা সাজিয়ে পেয়েছেন ভারতীয় পরিচয়পত্র। চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি উঠেছে নদিয়ার বগুলায়। প্রশাসনের নজর এরিয়ে কী করে তাঁরা কার্ডগুলি বানাতে পারলেন? বাংলাদেশ বর্ডার এলাকায় কোনও অসাধু চক্র কাজ করছে? আধিকারিকরা কী করছেন?-সহ একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক হেমন্ত সিংহ রায় ও জয়ন্ত সিংহ রায় বছরদুয়েক আগে ভারতীয় পরিচয়পত্র পান। তবে জয়ন্তের নাম কাটা গিয়েছে। হাঁসখালি থানার বগুলায় রয়েছেন তাঁদের আত্মীয়রা। অভিযোগ,  জ্যাঠা নিতাই সিংহ রায়কে বাবার পরিচয় দিয়ে শুধু আধার, ভোটার কার্ডেই থেমে নেই, দুই ভাই তৈরি করে ফেলেছেন প্যানকার্ডও। অভিযোগ বিষয় সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করছেন তাঁরা।

Advertisement

অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির পিসতুতো বোন সীমা দাস বলেন, “এরা আমার মামার দুই ছেলে। মামার জন্ম ওদেশেই। জয়ন্ত ও হেমন্ত বাংলাদেশের নাগরিক। দুবছর আগে ভারতীয় পরিচয়পত্র পায়। জ্যাঠামশাইকে বাবা বলে পরিচয় দিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে অনায়াসে যাওয়াত করে। জমি-জায়গা বিক্রি করছে। আমার কাছে সব তথ্য রয়েছে। একজনের নাম এখন কাটা গিয়েছে। তবে হেমন্তর নাম এখনও আছে।” কী করে এই পরিচয় পেলেন তাঁরা। সীমাদেবীর অভিযোগ, স্থানীয় মেম্বারদের সাহায্যে বাংলাদেশিরা ভারতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। সীমার আরও অভিযোগ তাঁকে বঞ্চিত করে তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছেন দুই বাংলাদেশি।

ঘটনা সামনে আসার পর রাজনৈতির রং লাগতে দেরি হয়নি। স্থানীয় বিজেপি নেতা অমিত প্রামাণিক বলেন, “বাংলাদেশি বাসিন্দা ভারতে এসে ভারতীয় পরিচয় পেয়ে যাচ্ছে। সবটাই স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও প্রশাসনের সাহায্যে এই কাজ হচ্ছে। প্রশাসন সক্রিয় থাকলে এই ধরনের ভুল রোখা যায়।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিশির রায় বলেন, “দুর্নীতি রোখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীও কড়া বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কিছু সরকারি কর্মচারী আছেন যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি অবশ্যই প্রশাসনের দেখা উচিত। এগুলি কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হিন্দু সেজে এদেশে আসছে ঠিকই, কিন্তু কোনও অন্য অভিপ্রায় আছে কি না তা কে জানে? আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement