পলাশ পাত্র, তেহট্ট: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছিলেন সারজিনা খাতুন। কালীগঞ্জের ছোট চাঁদঘরের শিকারি পাড়ায়, রাজু শেখের বাড়ির সামনে রবিবার সকাল থেকে ধরনা দিচ্ছিলেন বেলডাঙা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। রাতে ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রাজু শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর সোমবার সকালে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে সারজিনার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়।
বছর তেইশের সারজিনার বাড়ি একই পাড়ায়। সেই সূত্রেই রাজুর সঙ্গে আলাপ ও ভালবাসা। সারজিনার দাবি, স্কুলে পড়ার সময় ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। তারপর থেকে ১২ বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যে অনেক গভীর হয়েছে সম্পর্ক। সেই সুযোগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েছে রাজু। বর্তমানে দিল্লির একটি কোম্পানিতে চাকরি করে সে। সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে বিয়ের দেখাশোনা করছিল পরিবারের লোকেরা। এর জন্য কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরে রাজু।
আর এই খবর পেয়েই রবিবার তার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন সারজিনা। কিন্তু, ঘণ্টা দুয়েকের বেশি সেখানে বসতে পারেননি তিনি। অভিযোগ, ছেলের বাড়ির লোকেরা এসে তাঁকে মারধর করেন। পাশাপাশি রীতিমতো অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্ষোভে-দুঃখে-অপমানে জর্জরিত ওই যুবতী এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাদের সমস্ত ঘটনা জানিয়ে দুপুরের পর ফের রাজুর বাড়ির সামনে এসে ধরনায় বসেন তিনি। এরই মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে তাঁদের বিয়ে নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্ত, তাতে কোনও সুরাহা না হওয়া রাতে ফের পুলিশের কাছে যান সারজিনা। তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে রবিবার রাতে রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা রয়েছে ওই গ্রামে।
কিছুদিন আগে প্রেমের স্বীকৃতি পেতে ধরনাকে হাতিয়ার করেছিলেন জলপাইগুড়ির যুবক অনন্ত বর্মন। তাতে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে ভালবাসা পূরণের স্বপ্ন নিয়ে ধরনায় বসেছেন বেশ কয়েকজন প্রেমিক-প্রেমিকা। কেউ সুবিচার পেয়েছেন, তো কাউকে রীতিমতো মারধর খেতে হয়েছে। কিন্তু, এবার প্রেমিকার ধরনার জোরে শ্বশুরবাড়ির বদলে শ্রীঘরে ঠাঁই হল প্রেমিকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.