শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কথায় কথায় উল্লেখ করত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার কথা। কখনও নিজেকে পরিচয় দিত রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মী হিসেবেও। কখনও আবার বলে তিনি প্রশান্ত কিশোরের দলের লোক। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ এমনকী তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠছিল। এর জেরে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম দীপেন্দু দত্ত। বাড়ি জলপাইগুড়ির পবিত্র পাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থেকে প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ক্যান্সার আক্রান্ত নাবালক পুত্রকে সামনে রেখে সহানুভূতি আদায়ের পাশাপাশি মানুষকে প্রতারণার জালে ফাঁসাত এই ব্যক্তি। এভাবে প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ও নান্টু পালের মতো নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকেও টাকা আদায়ের কথাও নিজ মুখে স্বীকার করেছে ওই প্রতারক।
পুলিশের জেরায় আরও জানিয়েছে, সে এক সময় বিস্কুট কোম্পানিতে কাজ করত। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তন আনে তৃণমূল। ধৃত ব্যক্তির দাবি, জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল সভাপতি পদে কৃষ্ণকুমার কল্যাণী এবং আলিপুরদুয়ারে মোহন শর্মার জায়গায় মৃদুল গোস্বামীকে আনার পিছনে হাত রয়েছে তার।
কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, এর আগেও এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বহু মানুষকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে প্রতারিত করেছে। অনেকের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাকে শিলিগুড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করা হবে।
তৃণমূলের একাংশের মতে, প্রশান্ত কিশোর আসার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন অনেক নেতা। এর ফলে সহজ হচ্ছে প্রতারকদের কাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.