মৃত প্রৌঢ়ের বাড়ির সামনে জমে থাকা জল।
অর্ণব দাস, বারাসত: টিটাগড়-খড়দহ-দমদমের পর এবার আগরপাড়া (Agarpara)। ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল একজনের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়ার তারাপুকুর এলাকায়। এ নিয়ে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭। তাদের মধ্যে তিনজন শিশু। যার জেরে বাড়ছে উদ্বেগ।
দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন আগরপাড়া, খড়দহ, দমদমের একাধিক এলাকা। এখনও বজল বেরয়নি। তারাপুকুর এলাকার বাসিন্দা দীপক চৌধুরীর (৬৫) বাড়ির আশপাশে জল জমে ছিল। বুধবার রাতে বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ঢোকার সময় মূল ফটকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি বলে অভিযোগ। জমা জলের মধ্যেই পড়েছিলেন তিনি।
প্রতিবেশীরা খড়দহ থানা ও বিদ্যুৎ বিভাগে খবর দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার পর খড়দহ থানার পুলিশ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দীপকবাবুকে উদ্ধার করে। বলরাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার খড়দহ এবং টিটাগড়ে একইভাবে জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। বুধবার বিকেলে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় দমদম বান্ধবনগরে। খেলতে খেলতে লাইট পোস্টে হাত দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় দুই বালিকা।
প্রবল বৃষ্টির পর এখনও জল জমে রয়েছে বহু এলাকায়। দমদমের বান্ধবনগরের বহু অংশ এখনও জলের নিচে। রাস্তার উপর অপেক্ষাকৃত শুকনো জায়গায় খেলছিল দু’জন। লাইট পোস্টটি রাস্তার পাশের মাঠে পোঁতা। সেটির খানিকটা জলের নিচে ডোবা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খেলতে খেলতে তাতেই হাত দেয় দুই শিশু। এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচৈতন্য হয়ে পরে। বান্ধবনগর দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তগর্ত।
দমদমের বহু এলাকা জলে থই থই ছিল বুধবারও। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম পার্কের পাশে ক্যান্টনমেন্ট খাল, বাগজোলা খালের জল ব্যাক-ফ্লো করছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড–সহ বিভিন্ন এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় হাঁটু জল। সবকটি পাম্প চালিয়েও নাব্যতা কম থাকার কারণে খালের জল ফেরত আসছে। একই পরিস্থিতি টিটাগড়, খড়দহ, সোদপুর, আগরপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.