Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

করোনার উপসর্গহীন যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ! উদ্বেগে চিকিৎসকরা

থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে সন্দেহ হওয়ায় নমুনার পরীক্ষার জন্য যুবককে পাঠানো হয় হাসপাতালে।

One more COVID-19 tested positive in South 24 pargana's parulia area
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 5, 2020 5:41 pm
  • Updated:May 5, 2020 6:37 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সুফল মিলল বাড়ি বাড়ি ঘুরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের। করোনার কোনও প্রাথমিক উপসর্গ না থাকলেও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের রিপোর্ট আশানুরূপ না হওয়ায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পারুলিয়ার এক যুবককে পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই জানা গেল, আক্রান্ত তিনি! আগেভাগে ওই যুবককে হাসপাতালে পাঠানোয় এলাকায় সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম বলে মনে করছে প্রশাসন।

পেশায় ফল বিক্রেতা ওই যুবক পারুলিয়া উপকূল থানার দারিকৃষ্ণনগরের জয়দেবপুরের বাসিন্দা। বাড়ির কাছের বাজারেই ফল বিক্রি করতেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২৮ এপ্রিল থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পরই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাহ্যিক কোনও উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য। সেই রিপোর্ট হাতে আসতেই স্তম্ভিত চিকিৎসকরা। কারণ, উপসর্গ না থাকলেও তিনি করোনা পজিটিভ। এরপরই চিকিৎসার জন্য বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এই যুবকের সংক্রমণ চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসদের। এর প্রধান কারণ উপসর্গহীনতা, দ্বিতীয়ত জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বা পরিবারের কেউ সাম্প্রতিক ইতিহাসে এলাকার বাইরে যাননি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা ৫৪ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে একটি ফোঁড়া হয়েছিল আক্রান্তের। সেফটিপিন দিয়ে সেটি ফাটানোয় সেখানে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ত্রাণ বিলি ঘিরে সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কামারহাটি, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে গুরুতর জখম যুবক]

এদিকে জানা গিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে চারদিন আগে মৃত মগরাহাটের বাসিন্দার। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছালে জানা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে খবর, মগরাহাটের মহেশপুরের বিয়াসপুরের বাসিন্দা পেশায় রঙের মিস্ত্রি ওই ব্যক্তি কলকাতায় রঙের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সপ্তাহ খানেক আগে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন। ২৮ এপ্রিল তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভরতি করা হয়। ১ মে ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ওইদিন গভীর রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মোট ৫৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে স্বস্তির খবর মথুরাপুরে করোনা আক্রান্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালকের সংস্পর্শে আসা ৩৩ জনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ। এছাড়াও কাকদ্বীপে তিন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ১৮৫ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৯৫ জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। সবকটিই নেগেটিভ।

[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে শামিল পড়ুয়াদের সংগঠন, দুস্থদের হাতে তুলে দিচ্ছে খাদ্যসামগ্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement