সম্যক খান, মেদিনীপুর: একাধিক সমস্যা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগে ভরতি এক ব্যক্তির শরীরে মিলল করোনার (Corona Virus) জীবাণু। ইতিমধ্যেই কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তবে করোনা রিপোর্ট হাতে আসার আগে ওই আক্রান্ত হাসপাতালের একাধিক বিভাগের বহু রোগী, চিকিৎসক ও নার্সের সংস্পর্শে আসায় ঘুম উড়েছে জেলা প্রশাসনের।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি ‘রেড জোন’ হাওড়ার শালকিয়ার বাসিন্দা। তাঁর মেয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালের ইন্টার্ন। তাই করোনা আবহের মধ্যেই চলতি মাসের ৪ তারিখ বাবাকে নিজের কাছে নিয়ে যান ওই তরুণী। একাধিক শারীরিক সমস্যা থাকায় তাঁকে ভরতি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিনের জরুরি বিভাগে। সেখানে আরও প্রায় ৩০ জন রোগীর সঙ্গেই ছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে যেহেতু হাওড়া থেকে গিয়েছেন এবং কিছু উপসর্গও ছিল, সেই কারণে তাঁর নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরই মাঝে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ওই হাসপাতালেরই জেনারেল মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসতেই জানা যায় তিনি আক্রান্ত।
তড়িঘড়ি তাঁকে পাঠানো হয় মেদিনীপুরের কোভিড হাসপাতালে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় ২০ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। বাকিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রসঙ্গত, ওই আক্রান্তের ছেলে কিছুদিন আগেই দিল্লি থেকে হাওড়ার বাড়িতে ফিরেছেন। এই ঘটনায় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, হাওড়া রেড জোন হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে চলতি মাসে ওই ব্যক্তিকে মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হল? হাসপাতালই বা কেন রিপোর্ট হাতে আসার আগে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে রাখল তাঁকে? ছেলে দিল্লি ফেরত জানার পরও কেন এই উদাসীনতা? এ বিষয়ে আক্রান্তের মেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান যে, তাঁরা বাবা অসুস্থ। সেই কারণে বিশেষ অনুমতি করিয়ে তাঁকে মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “বিশেষ পারমিশন করিয়ে আনা হয়েছে বলে শুনেছি। গোটা বিষয়টি জানি না।” এই ঘটনায় আতঙ্কে কাঁটা ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যেরা। হাসপাতালের উদাসীন মনোভাবের কারণেই এই ঘটনা, দাবি সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.