ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত মধ্যমগ্রামের কাউন্সিলরের গাড়ি চালকের শরীরেও মিলল জীবাণু। শনিবার রাতেই হাতে এসেছে তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। এরপরই কদম্বগাছির করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর, জানিয়েছেন মধ্যমগ্রামের CIC (হেলথ) নিমাই ঘোষ। এলাকায় তৃতীয় আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ বেড়েছে স্থানীয়দের।
বেশ কিছুদিন আগেই মধ্যমগ্রামের এক কাউন্সিলরের শরীরে মেলে করোনার জীবাণু। এরপরই তাঁর সংস্পর্শে ছিলেন এমন ১৫ জনকে পাঠানো হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনে। প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। শনিবার রাতে মেলে রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত ওই কাউন্সিলরের গাড়িচালক। তবে বাকি ১৪ জনই সুস্থ। রিপোর্ট মেলার পর রবিবার কদম্বগাছির একটি করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মধ্যমগ্রামের CIC, হেলথ নিমাই ঘোষ জানিয়েছেন, “কাউন্সিলরের শরীরে মারণ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার পরই এই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ইনিও আক্রান্ত।”
আক্রান্ত কাউন্সিলরের কোনও বিদেশ যাত্রার ইতিহাস পাওয়া যায়নি বলে আগেই মধ্যম গ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ড সিল করে দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল এলাকার প্রত্যেককে। এরপর এই ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় এদিন আক্রান্তের বাড়ির চারপাশ ফের স্যানিটাইজ করা হয়।বাড়ি বাড়ি গিয়ে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে। অসুস্থ বোধ করলেই বা কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই স্থানীয়দের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের সঙ্গে। প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্যও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে পুলিশের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, এর আগে মধ্যমগ্রামের এক নার্স ও এক কাউন্সিলরের শরীরের বাসা বাঁধে করোনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.