স্টাফ রিপোর্টার: একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ল রাজ্যে। জলদাপাড়া ও গরুমারা দুই জাতীয় উদ্যানে তিন বছরে ৪৫টি গণ্ডার বেড়েছে বলে জানাল রাজ্য বনদপ্তর। জলদাপাড়ায় তিন বছর আগে গণ্ডারের সংখ্যা ছিল ২৯২। চলতি বছর যা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৩৩১-এ। অর্থাৎ বেড়েছে ৩৯টি। অন্যদিকে, গরুমারার জঙ্গলে তিন বছর আগে গণ্ডারের সংখ্যা ছিল ৫৫। চলতি বছরে মার্চের শুমারে তা বেড়ে হয়েছে ৬১। বেড়েছে ৬টি।
৫ ও ৬ মার্চ-এই দু’দিন নিজেদের ৮৫টি কুনকি হাতি আর ১৫টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় বনদপ্তর গণ্ডার শুমারের কাজ করেছে। কাজ চলেছে জলদাপাড়া, গরুমারা, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য ও জলপাইগুড়ি সংরক্ষিত অরণ্যের বিস্তীর্ণ ভূমিকে ৪ বর্গ কিলোমিটারের হিসাবে ভাগ করে।
মোট ৩৯৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ৯৯টি এই ধরনের ব্লকে ভাগ করে শুমার হয়। তাতে প্রায় সাড়ে ৬০০ দপ্তরের কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়। তাতে মূলত গণ্ডারের যাতায়াত ও উপস্থিতির উপর এই হিসাব করে দপ্তর। দেখা যায়, জলদাপাড়ার গণ্ডারের হিসাবে প্রায় ৭২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ৯ শতাংশ, প্রায় প্রাপ্তবয়স্ক ও ২১ শতাংশ শিশু রয়েছে। আবার গরুমারার গণ্ডারের হিসাব বলছে, প্রায় ৬২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক, প্রায় প্রাপ্তবয়স্ক ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ শিশু রয়েছে। গণ্ডারের এই হারে সংখ্যাবৃদ্ধি হলেও তাদের সংরক্ষণের উপর যথেষ্টই জোর দিচ্ছে বনদপ্তর।
উল্লেখযোগ্য খবর হল, গণ্ডারের দুই জঙ্গলের এই দুটি দলেরই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছে স্ত্রী গণ্ডাররা। আনুপাতিক হারে জলদাপাড়ায় একটি পুরুষ পিছু স্ত্রী গণ্ডারের সংখ্যা ১.১৩। গরুমারায় সেখানে একটি পুরুষ পিছু স্ত্রীর সংখ্যা ১.৫৯।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.