Advertisement
Advertisement

জলদাপাড়া থেকে নতুন ঠিকানায় একশৃঙ্গ গন্ডার

বন দফতরের হিসাব অনুযায়ী এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের এই দুই জঙ্গলে একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা ২৫০-এরও বেশি৷

one horn rhinos are shifted from Jaldapara and Gorumara
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 2, 2016 1:53 pm
  • Updated:December 2, 2016 1:53 pm  

সুদীপ রায়চৌধুরি: জলদাপাড়া ও গরুমারার ভিড় কমাতে পাশের দুই জঙ্গল বক্সা ও পাতলাখাওয়ায় বিখ্যাত একশৃঙ্গ গন্ডারের নতুন বাসস্থান তৈরি করতে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের সেই প্রস্তাবে মৌখিক সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রক৷ আর তার পরই নতুন অতিথিদের থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করতে বক্সা ও পাতলাখাওয়ায় হেমন্তের পাতাঝরা হলুদ বনে নতুন ঘাসবন বোনা শুরু করল রাজ্য বন দফতর৷

দীর্ঘদিন ধরেই অসমের কাজিরাঙা ছাড়া এশিয়ার বিখ্যাত একশৃঙ্গ গন্ডারের অন্যতম বাসভূমি এ রাজ্যের জলদাপাড়া ও গরুমারা অভয়ারণ্য৷ বন দফতরের হিসাব অনুযায়ী এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের এই দুই জঙ্গলে একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা ২৫০-এরও বেশি৷ এর মধ্যে শুধু জলদাপাড়াতেই রয়েছে ২০০ টিরও বেশি গন্ডার৷ একশৃঙ্গ গন্ডারের এই সংখ্যাবৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বনকর্তাদের৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই জঙ্গলের আয়তনের তুলনায় গন্ডারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি৷ যে কারণে গত বছর জলদাপাড়ায় এক বৈঠকে এশিয়ান রাইনো স্পেশালিস্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য নতুন বাসস্থান খুঁজতে পরামর্শ দেওয়া হয় রাজ্য বন দফতরকে৷ সেই পরামর্শ মতো গত অক্টোবর মাসে পাশের আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ও কোচবিহার জেলার পাতলাখাওয়া জঙ্গল দু’টিকে নির্দিষ্ট করা হয়৷ তারপরই বন মন্ত্রকের কাছে এ বিষয়ে অনুমতি চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় দিল্লিতে৷ অরণ্য ভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রস্তাবে নীতিগত সমর্থন জানিয়ে দিয়েছে বন মন্ত্রক৷ আর তার পরই পুনর্বাসনের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে৷ নতুন ঘাসবন তৈরি তারই অঙ্গ৷

Advertisement

রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ জানিয়েছেন, “আশা করছি খুব শীঘ্রই দিল্লি থেকে লিখিত অনুমতি এসে যাবে৷ সেজন্য এখন থেকেই একশৃঙ্গ গন্ডারদের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে৷ অনুমতিপত্র এসে গেলেই জলদাপাড়া ও গরুমারা থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক গন্ডারকে তাদের নতুন বাসভূমিতে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু করা হবে৷” নতুন বাসভূমিতে ঠিক কত গন্ডারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে, সেই সংখ্যাটা এখনও চূড়ান্ত না হলেও বন দফতর সূত্রে খবর, সংখ্যাটা সব মিলিয়ে একশোর কাছাকাছি৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে বর্ষার আগেই নতুন দুই বাসভূমিতে পুনর্বাসন সেরে ফেলা হবে৷

বনমন্ত্রীর কথায়, তোর্সা নদীর ধারে অবস্থিত পাতলাখাওয়া জঙ্গল অনেকটাই জলাভূমি৷ প্রতিবছর বর্ষার সময় নদীর চর এমনিতেই ঘাসে ভরে ওঠে৷ ফলে এই স্থান অনায়াসেই গন্ডারের আদর্শ বাসভূমি হয়ে উঠতে পারবে৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement