দেবব্রত মণ্ডল, সোনারপুর: সোনারপুরের ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোনারপুরের ঘাসিয়াড়া মোড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমনের ডাক নাম আরিয়ান। এই নামটি ওই ছাত্রীর মোবাইলে সেভ ছিল। ছাত্রীটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ৩০৬ ধারায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
[ বিরল প্রজাতির পাখি মেরে ফেসবুকে নাগা জওয়ানদের উল্লাস, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নালিশ বনদপ্তরের ]
ভিডিও কলে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই আত্মঘাতী হয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমি মিস্ত্রি। আরিয়ান নামে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৌসুমির। দু’জনের রীতিমতো ঘনিষ্ঠতাও ছিল বলে খবর। যদিও মেয়ের সঙ্গে আরিয়ানের সম্পর্ক নিয়ে মৌসুমির বাড়ির লোকেরা কিছু জানতেন না বলেই জানা গিয়েছে। মৌসুমির মা শম্পা মিস্ত্রির দাবি, মেয়েকে হামেশাই ফোনে এক যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখতেন তিনি। তবে কে সেই যুবক? মৌসুমির সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক? সে বিষয়ে কোনও ধারণা ছিল না তাঁর।
পরিবারের লোকেদের দাবি, রবিবার দুপুরে নিজের ঘরে বসেই ভিডিও কলে আরিয়ানের সঙ্গে কথা বলছিল মৌসুমি। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কিন্তু, সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়ে ঘর থেকে না বেরনোয় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় বিস্তর ডাকাডাকি করেও মৌসুমির কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকী, ওই কিশোরীর মোবাইলে ফোনও করেছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু, ফোন বেজে যায়। শেষপর্যন্ত ঘরের জানালা দিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা।
[ ভিলেন মাছি, জঙ্গলমহলে আদিবাসী মহিলাদের যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ]
খবর পেয়ে আসে সোনারপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৌসুমি মিস্ত্রির পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই কিশোরের মোবাইল থেকে আত্মহত্যার ভিডিও ও প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি পাওয়া গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.